১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সিলেটে সাংবাদিক তুরাব হত্যা, থানায় ভাইয়ের অভিযোগ

-

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের নির্বিচার গুলীতে নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় সিলেটের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে লিখিত এজাহার দাখিল করেন মরহুম সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর আহমদ)।
এজাহারের কপি গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন। এজাহারে ১০ অজ্ঞাত পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ এজাহারটিকে জিডি হিসেবে রেকর্ড করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, কবি মুহিত চৌধুরী, ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের (ওকাস) সভাপতি ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কবির আহমদ সোহেল, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন, সাংবাদিক দিগেন সিংহ, মুনশি ইকবাল, এমজেএইচ জামিল, শাকিলা ববি, গোলজার আহমদ হেলাল, আবুল হোসেন, ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল, মামুন হোসেন, তামান্না আহমদ রতœা, আজমল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রেজাউল করিম সোহেল প্রমুখ।
নিহত সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বেলা ১টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কোর্টপয়েন্টে অবস্থান করছিলেন তুরাব। এক পর্যায়ে জুম্মার নামাজের পর মিছিল শুরু হলে তুরাব মিছিলের পেছনে অন্যান্য সহকর্মীসহ অবস্থান নেন। মিছিলটি পুরানলেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিক থেকে অবস্থান নেয়। ঐ মুহূর্তে হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনে আমার ভাই তুরাব বলে আমাকে বাঁচাও আমাকে মেরে ফেলছে। আমার চোখেমুখে গুলি লেগেছে। একথা বলেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এ সময় সাক্ষী ও পথচারীরা একটি সিএনজিতে (অটোরিকশায়) তোলে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোবহানীঘাট ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। কিন্তু অত্যাধিক গুলির কারণে ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। এমতাবস্থায় চিকিৎসারত অবস্থায় ঐদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গোলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। তদন্তকালে আমরা তা উপস্থাপন করব। আমি আমার ভাইয়ের দাফন কাপনসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে এজাহার দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হয়। এজাহারে সাংবাদিক আবু তাহের মো: তুরাবের খুনিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন শিপন বলেন, সাংবাদিক তুরাব মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত চলছে। গত বুধবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত অভিযোগটি আমরা গ্রহণ করেছি এবং জিডি হিসেবে রেকর্ড করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল