৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ও সরাইল সংবাদদাতা
- ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৪
সরাইলের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো: হালিম উল্লাহ চৌধুরী চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ঠাকুর, মাহফুজ আলী, মোকাররম হোসেন সোহেল ও ইসমত আলী। এ ছাড়া আব্দুল জব্বার, হাফেজুল আসাদ সিজার, ইদ্রিস আলী, বাবু, হারিছ, বকুল, লিমন, আব্দুল্লাহ, শরীফ ও মিজানকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসমত ও সোহেল পিতাপুত্র। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অশোক কুমার দাস জানান, মামলায় অভিযুক্ত বাকি সব আসামি খালাস পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দলীয় বিরোধের জের ধরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সরাইল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ। এ ঘটনায় সরাইল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো: রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সরাইল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ।
২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো: সাদেক মিয়াসহ আরো ৭ জনের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো: সাদেক মিয়া মারা যান।
আদালতের রায়ে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদের সহধর্মিণী সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা শিউলি আজাদ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা