অবৈধ অন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করলে ৫ বছর জেল জরিমানা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৩
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে যে কোনো প্রকার বিনিয়োগ নেয়া, ঋণ দেয়া, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয়; এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে গতকাল জাতীয় সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল ২০২৪ পাস হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি পাসের জন্য গতকাল উত্থাপন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। পরে স্পিকার বিলটি ভোটে দিলে তা সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়।
বিলের উদ্দেশ্য-কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থাসংক্রান্ত কোনো আইন নেই। সে কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ অর্ডার ১৯৭২ সালের আর্টিকেল ৭ এ (ই) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় সব পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। ফলে, গ্রাহক-স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনি কাঠামোর আওতায় নেয়া জরুরি বিধায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন-২০২৪’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংহত করা, তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ঝুঁকি কমাতে ও গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিধান প্রণয়ন করতে এই বিল আনা হয়েছে।
বিলটি পাসের ওপর আপত্তি জানিয়ে এটিকে জনমত যাচাইয়ের দাবি জানান, বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ, এস এম ব্রাহানী সুলতান মামুদ ও হামিদুল হক খন্দকার। তারা বলেন, দেশে অর্থ পাচার রোধ করা যাচ্ছে না, বিভিন্নভাবে অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা সুদ অবৈধভাবে মওকুফ করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। স্পিকার পরে বিলটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধ দলিল’ ইস্যু, ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশ নেয়া, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘনের সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা