নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:১৯
শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেল কিনে দিতে দেরি হওয়ায় রূপগঞ্জে সুমি আক্তারকে হত্যার সাত বছর পর ঘাতক স্বামী মো: জুয়েল মিয়াকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূ সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার স্বামী মো: জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত সুমি আক্তার উপজেলার নগড়পাড়া এলাকার সিরাজ ভুঁইয়ার মেয়ে।
তার বাবা সিরাজ ভুঁইয়া জানান, তিনি একজন মাটিকাটার শ্রমিক। অতি কষ্টে স্থানীয় একটি মাদরাসায় মেয়ে সুমি আক্তারকে লেখাপড়া করিয়েছেন। ইছাখালী এলাকার মারফত আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া সুমি আক্তারকে অপহরণ করে বিয়ে করে। এছাড়া জুয়েল একজন মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক হিসেবে সিরাজ ভুঁইয়ার কাছে একটি মোটরসাইকেল দাবি করে আসছিল। এছাড়া কয়েক দফায় প্রায় এক লাখ টাকাও নিয়েছে। এরপর আরো এক লাখ টাকা যৌতুক ও সুজকি কোম্পানির একটি মোটরসাইকেলের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল জুয়েলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
দাবিকৃত যৌতুকের টাকা ও মোটরসাইকেল না দিতে পারায় সুমি আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করত তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন রাতে স্বামী জুয়েল মিয়া, শ্বশুর মারফত আলী, শাশুড়ি মিনারা, ভাসুর সোহেলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে বাবা সিরাজ ভুঁইয়াসহ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন। তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মো: আবদুর রশিদ বলেন, রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলায় জুয়েল মিয়া নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাদিপক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা