এক পেঁয়াজুর ওজন ৫ কেজি
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
এক একটি পেঁয়াজুর ওজন ২ থেকে ৫ কেজি। ফুটন্ত তেলের মধ্যে থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে চাক-চাক এসব পেঁয়াজু। প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের এ বিশেষ আকৃতি পেঁয়াজু খেতে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ। বিশাল আকৃতি এসব পেঁয়াজু শুধু পেঁয়াজ দিয়েই তৈরি। কেউ আসেন পেঁয়াজু খেতে, কেউ আসেন বিশাল আকৃতির পেঁয়াজু দেখতে। দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী গ্রাম চন্দ্রবাস। এখানে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের পাশাপাশি পাশের জেলাগুলো থেকেও অনেকে রশিদুলের চাক পেঁয়াজু খেতে আসেন। বিশেষ করে ছুটির দিনে বেশি ভিড় দেখা যায় রশিদুলের দোকানে। পেঁয়াজু কারিগর চন্দ্রবাস গ্রামের রশিদুল বলেন, ছোট থেকেই বাবার সাথে সাধারণ পেঁয়াজুর ব্যবসা করতেন তিনি। বড় হয়ে ভাইদের সাথে ব্যবসা ভাগাভাগি হলে আলাদা কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন তিনি।
এক সময় মাথায় আসে বিশেষ আকৃতির বড় সাইজের পেঁয়াজু তৈরির কথা। শুরু থেকেই বিশাল আকৃতির পেঁয়াজু ভোক্তাদের নজর কাড়ে। ক্রেতারা বলেন, সাধারণ ছোট আকৃতির পেঁয়াজুতে অনেক সময় অন্যান্য সবজি মেশানো হয়। কিন্তু রশিদুল প্রকাশ্যে শুধু পেঁয়াজ দিয়েই তৈরি করেন পেঁয়াজু। এ ছাড়া ব্যতিক্রমী আকৃতির কারণেও অনেকে রশিদুলের পেঁয়াজু খেতে আসেন। স্থানীয়রা বলেন, রশিদুলের পেঁয়াজুর চাহিদা দেখে চন্দ্রবাস বাজারে আরো দুই-একজন বড় আকৃতির চাক পেঁয়াজু তৈরি করেন। কিন্তু রশিদুলের মতো এত পেঁয়াজু কারও বিক্রি হয় না। বিকেল হলেই চন্দ্রবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে বসে চাক পেঁয়াজুর পসরা।
রশিদুল বলেন, তিনি দৈনিক গড়ে সাত থেকে ১০ হাজার টাকার পেঁয়াজু বিক্রি করেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজু ৩৫০ টাকা। এতে তার মাসে দুই লাখ টাকার বেশি পেঁয়াজু বিক্রি হয়। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা