‘জনগণ জামায়াতকে মুক্তির কাণ্ডারি হিসেবে পেতে চায়’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের প্রত্যয় একটাই আল্লাহর পথে মোরা চলব, নিকষ কালিমা ভরা আকাশে ধ্রুব জ্যোতি তারার মতো জ্বলব। বাংলাদেশের মানুষ আজ দিকভ্রান্ত তারার মতো মুক্তির পথ খুঁজছে। তারা জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তির কাণ্ডারি হিসেবে পেতে চায়। তাই জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে দেশ পরিচালনায়ও নেতৃত্ব দিতে হবে। এ জন্য জামায়াতের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দকে যুগের চাহিদানুযায়ী দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাড়া-মহল্লায় স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, সমিতি, সঙ্ঘ, ক্লাব গড়ে তুলতে হবে এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে। সালিস-দরবারে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বঞ্চিত, পথহারা ও এতিম শিশুদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সর্বোপরি বেশি বেশি সামাজিক কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। দেশ ও সমাজে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য গণমুখী চরিত্রের কোনো বিকল্প নেই।
গতকাল জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলা আয়োজিত উপজেলা শূরা সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মো: আবুবকরের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবদুল আউয়ালের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন। আরো উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্য আব্দুল হাই, জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মতিয়ার রহমানসহ ঝিনাইদহ জেলার প্রতিটি উপজেলা মজলিসে শূরা সদস্যরা।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হত্যাকাণ্ড ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশীদের অন্যায় হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণেই ভারত বারবার বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের ভারত তোষণ নীতিই দায়ী। দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কোনো অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার সৎ সাহস পায় না। বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধু সুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনাকাক্সিক্ষত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে এবং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
বিশেষ অতিথি মোবারক হোসাইন বলেন, ইবরাহিম ও ইসমাইল আ: আল্লাহর সামনে অবনত চিত্তে আনুগত্যের শির নত করেছিলেন। জামায়াতের দায়িত্বশীলদেরকেও এ শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। জাতির সামনে আগামীর আন্দোলন-সংগ্রাম একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষতা ও হিকমার সাথে জামায়াতের দায়িত্বশীলদেরকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এ লক্ষ্যে জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে আগুনে ৩ জন নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার রিয়াজুদ্দিন বাজারের রিজওয়ান কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদীয়া প্লাজায় বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনজন নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী।
নিহতদের লাশ দেখতে ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিতে গতকাল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
এ সময় তার সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা আমির ও চট্টগ্রাম মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য আমির হোসাইন, কোতোয়ালি থানা সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য মোস্তাক আহমদ, আলকরন ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন প্রমুখ।
শাহজাহান চৌধুরী নিহত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ব্যবসায়ীদের যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। আমি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে দোয়া করছি তারা যেন শিগগিরই এ বিরাট ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা