১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক সংঘর্ষ

-

আগামী ২৬ জুন রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকান থেকে সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে এ আমেজে কিছুটা ভাটা পড়েছে গত ক’দিনের ঘটে যাওয়া হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায়। নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- মোবাইল প্রতীকে দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা ও জগ প্রতীকে রফিকুল ইসলাম রফিক।
এ দিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই মেয়র প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরছেন। সব মিলিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো পৌর এলাকা। কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজার ৭৯৮ জন।
স্থানীয় ভোটরদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত সময়ে কাঞ্চন ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালীন একবার চেয়ারম্যান হিসেবে ও পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর একবার মেয়র হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন আবুল বাশার বাদশা। তার দ্বারা কারো জমিজমা দখল বা বালু ভরাট করার মতো ঘটনা নেই। এ ছাড়া কারো কোনো ধরনের ক্ষতিও হয়নি। যার ফলে আবারো কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র হিসেবে আবুল বাশার বাদশাকে বিজয়ী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কাঞ্চনের সন্তান পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, মাসকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ সবুরসহ স্থানীয় শিল্পপতি, সুশিল সমাজ ও সাধারণ মানুষ আবুল বাশার বাদশাকে বিজয়ী করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
অপর দিকে আবুল বাশার বাদশাকে ঠেকাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিকও নিজের মতো করে তার লোকজন নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। গত পাঁচ বছর কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র দায়িত্ব পালন করাকালে বিভিন্ন বিয়ে ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সময় দেয়া ও আর্থিক সহযোগিতা করায় রফিকুল ইসলাম রফিকের সুনাম রয়েছে। তবে, মেয়র হওয়ার পর রফিকের ভাই সাইফুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম মোঘল, নজরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম সফিক বেপরোয়া হয়ে উঠেন। পৌর এলাকার অনেক সাধারণ মানুষের জমিজমা জোরপূর্বক দখল ও জালজালিয়াতি করে আত্মসাৎ করার মতো অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার মতোও ঘটনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় মোবাইল প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী আবুল বাশার বাদশার সাথে। তিনি বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমার দ্বারা পৌরবাসীর কখনো ক্ষতি হয়নি। আমাকে সব শ্রেণিপেশার মানুষ মন থেকে ভালোবাসে।
অপর দিকে জগ প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে বহিরাগতরা ভোটারদের মধ্যে কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনছেন। নির্বাচনের দিন বহিরাহতরা থাকলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে। পৌরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে বলে আমি আশা রাখছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গ-সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের দিন কাঞ্চন পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো পক্ষ ঝামেলার সৃষ্টি করলে ছাড় দেয়া হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement