স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে খুনসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যার শিকার ৬
৪ জনের লাশ উদ্ধার : ২ শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২০ জুন ২০২৪, ০০:৩৬
কক্সবাজারের রামু, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, ময়মনসিংহ সদর, শরীয়তপুর, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং ময়মনসিংহের ভালুকায় স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাসহ ছয়জন খুন হয়েছেন। সেনাসদস্য মা-মেয়েসহ তিনজন বিদ্যুস্পৃষ্টে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া মাদরাসা ও স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার অফিস জানায়, কক্সবাজারের রামুতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার ভোরে ঈদগাঁও ইউনিয়নের উপরেরখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঈদগাঁও ইউনিয়নের উপরের খিল এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেনের মেয়ে রুবি আক্তার (১৯) ও তার স্বামী নুর মোহাম্মদ (২৮)। নুর মোহাম্মদ চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার বাসিন্দা।
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, রাত ২-৩টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। কারা কেন এই হত্যা করেছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ঘটনার ক্লু বের করার চেষ্টা চলছে।
ঈদগাঁও (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী এলাকার এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেও তা অস্বীকার করছে পুলিশ।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডে চারজনকে সন্দেহ করছে রুবিনা আক্তারের মা। তাদের মধ্যে অন্যতম একই ইউনিয়নের বড়বিল চরপাড়া এলাকার আবদু রশিদের ছেলে রমজান আলী। রমজান আলী রুবিনা আক্তারের প্রাক্তন প্রেমিক ছিলেন। সে ইতঃপূর্বে রুবিনা আক্তারের মা আমেনা খাতুনকে প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি প্রদান করেছিল বলে পুলিশকে জানান তিনি। তাই সন্দেহের তীর রমজান আলীর দিকে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নিহত রুবিনা আকতারের পিতা কামাল হোছেন পার্শ্ববর্তী বাইশারি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধুইল্যা ঝিরি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পিতা-মাতার দাম্পত্য কলহের কারণে নিহত রুবিনা আকতার তার নানার বাড়ি ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড উপরেরখিল এলাকায় থাকতেন। ইতঃপূর্বে রুবিনা আকতার ও নুর মোহাম্মদ দম্পতি প্রেম করে বিয়ে করে। তবে তাদের বিয়েটি ছিল বাল্যবিবাহ।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও ফতুল্লা সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোরে ফতুল্লার মাহমুদপুর বটতলা এলাকায় বাড়ির উঠান ঝাড়ু দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নূর বানু (৬০) ও তার মেয়ে বিলকস বেগম (৪০)। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার চরআবাবিল গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, মাহমুদপুর বটতলা এলাকায় গোলাপ মিয়ার বাড়িতে মা-মেয়ে ভাড়া থাকে। তারা লোকজনের বাসা বাড়িতে কাজ করে দিনযাপন করেন। তাদের আত্মীয়স্বজন থাকলেও কেউ তাদের মা-মেয়ের খোঁজখবর রাখেন না। বাড়িওয়ালা গোলাপ মিয়া কুমিল্লায় বসবাস করেন। তার বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হয়েছে পুরনো টুকরো টুকরো তার দিয়ে। এতে বিদ্যুতের তারের লিকেজ থেকে লোহার খুঁটিতে বিদ্যুৎ চলে আসে। ভোরে বৃদ্ধ মা নূর বানু বাড়ির উঠান ঝাড়ু দেয়ার সময় সেই খুঁটিতে ধরে চিৎকার দেয়। এ সময় মেয়ে বিলকিস বেগম মাকে ধরলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাড়িওয়ালার অবহেলার কারণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িওয়ালাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সরিষাবড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন মহিষাবাধুরিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কাঞ্চন সাথী (২৫) গত মঙ্গলবার রাতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতুবরন করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে স্বামী সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাঞ্চন সাথী দুইজন ভাটারা বাজারে কেনা কাটা শেষে বাড়ীতে ফিরছিল। রাস্তায় তাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী সাইফুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে কাঞ্চন সাথীর পেটে আঘাত করেন। এ সময় কাঞ্চন সাথী গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করায়। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কাঞ্চন সাথী মারা যায়।
দিনাজপুর জেলার হাকিম পুর থানাধীন বাসুদেব গ্রামের রিপন সরকারের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সরলের বাড়ি বলে জানা গেছে। সাইফুল ইসলাম ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
নোয়াখালী অফিস জানায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের ওয়ারিশ হাজী বাড়ির হারুনুর রশীদ ওরফে কালামিয়ার ছেলে নিহত জাহিদুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ (২০)। তিনি ঢাকার একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কামলারটেক বাজারের হাশেমের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে একই গ্রামের আলাবক্স বেপারি বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে হামলাকারী মো: রিয়াজকে (২০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে (খুন হলো) ফিরল নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্র আপন (১৪)। ঘটনটি ঘটেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামে গতকাল সোমাবার রাতে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা সদরের জিসি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র বাগঝাপা গ্রামের তুহিন শেখের ছেলে আপন শেখ (১৪) তার প্রতিবেশী বন্ধু একই পাড়ার মো: কাওছার শেখের ছেলে মো: সোহেল (১৫), ভাসান শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (১৬), মো: ইমরান মিয়ার ছেলে মো: স্বাধীন (১৫), মো: রহমান শিকদারের ছেলে মো: খাইরুল শিকদারের (১৫) সাথে রেললাইনে ঘুরতে যায়। রাত ৯টার দিকে আপনের বন্ধুরা খবর দেয় আপনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়রা তার মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতের চিহ্নসহ রেললাইনের পানির ডোবা থেকে আপনের লাশ উদ্ধার করে। স্কুলছাত্র আপনের মৃত্যুতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনালসংলগ্ন পুকুর থেকে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টার্মিনালের বিআরটিসি বাস ডিপোর পাশের ওই পুকুর থেকে গতকাল বুধবার দুপুরে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার পরির্দশক (তদন্ত) লোকমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুকুরে লাশটি দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। আমরা এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনে হচ্ছে মৃত নারী মানসিক ভারসাম্যহীন এবং ভবঘুরে ছিলেন।
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় মিনারা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঈদের আগের দিন গত রোববার বিকেলে উপজেলার চুরখাই এলাকার আব্দুল লতিফের বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মিনারা ত্রিশাল উপজেলার ধলা এলাকার আনিসুর রহমানের স্ত্রী।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আনোয়ার হোসেন জানান, রোববার দুপুরের দিকে আব্দুল লতিফের বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে পচা-গলা অবস্থায় লেপ দিয়ে মোড়ানো বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে, সেই বাড়ির মালিক আবদুল লতিফের ছেলে রাজীবের স্ত্রীর সাথে বসবাস করতেন। ঘটনার পর থেকে রাজীব পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। রাজীব হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারেন।
নিহতের স্বামী আনিসুর রহমান জানান, সাত বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মিনারা ফুলবাড়িয়ায় তার বাবার বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং তখন থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। গত রোববার দুপুরে চুরখাই এলাকায় এক নারীর উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি মর্গে ছুটে যান এবং মিনারার লাশ শনাক্ত করেন।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, নিজের বসতঘরে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃৃষ্ট হয়ে ইয়ামিন ঢালী (৩০) নামে এক আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিলাশখান এলাকার খেলসি গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়ামিন ঢালী খেলসি গ্রামের আব্দুল জলিল ঢালীর ছেলে।
পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইয়ামিন ঢালী ঢাকায় আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। কয়েকদিন আগে ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গতকাল বুধবার সকালে নিজের ঘরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেছিলেন ইয়ামিন ঢালী। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে তার পুরো শরীর পানিতে ভিজে গিয়েছিল। ভেজা শরীরে অসর্তকতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে ইয়ামিন ঢালী। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজনের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় খেলার মাঠে গোল বারে ঝুলতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত পেটে আঘাত লেগে মোহাম্মদ আরাফাত (১২) নামে অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু। গত মঙ্গলবার বিকেলে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার মইজ্জ্যারটেক আবাসিকের একটি টার্ফ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরাফাত চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আক্কেল আলীর বাড়ির নূর হোসেনের ছেলে। সে মেমোরিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় সাপের দংশনে আসিফ মিয়া (১০) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পালগাঁও গ্রামে আসিকের মৃত্যু হয়। সে উপজেলার রাংচাপড়া মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় পড়াশুনা করত। জানা যায়, আসিফ তার মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় বাবা আল আমীন স্ত্রীকে ফেলে চলে যান। পরে ভূমিষ্ঠ হয়ে আসিফ নানা উপজেলার পালগাঁও গ্রামে আমীর আলীর বাড়িতেই মায়ের আদরে বড় হতে থাকে। দুই বছর আগে উপজেলার রাংচাপড়া মদিনাতুল উলুম মাদরাসার আবাসিক থেকে পড়াশুনা করে আসছে। ঈদের ছুটিতে সে নানা বাড়িতে যায়। সেখানে একটি বিষাক্ত সাপ তাকে দংশন করে। তখন ওজা তাকে ঝাড় ফুঁক দেন এবং এক পর্যায়ে দংশনের জায়গা ব্লেড দিয়ে কেটে রক্ত বের করেন। পরে তাকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা