সোনা ও হীরা চোরাচালানে বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৪ জুন ২০২৪, ০২:০৩
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি সোনা ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছে। পুরো এ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। তারা বলেন, প্রতিদিন দেশের জল-স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার, সোনারবার, ব্যবহৃত পুরোন জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসেবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলঙ্কার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোাটি টাকার বেশি।
বসুন্ধরা সিটি শপিংমলস্থ বাজুস কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সমিতির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো: রিপনুল হাসান, সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে রিপনুল হাসান তথ্য তুলে ধরেন।
বাজুস জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতর সাথে বাংলাদেশের ৩০টি জেলার সীমান্ত অবস্থিত। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের ৬ জেলা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াড়াঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে। ভারতে পাচার হওয়া সোনার বড় একটি অংশ এসব জেলার সীমান্ত দিয়ে হয়ে থাকে। বাজুসের প্রাথমিক ধারণা, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল-স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনো জুয়েলারি ও হীরার অলঙ্কার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোাটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি।
তারা বলেছেন, এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২২০ কোটি টাকার সোনা ও সোনার অলঙ্কার এবং ৩০ কোটি টাকার হীরা ও হীরার অলঙ্কার আসে। সে হিসেবে এক বছরে ৮০ হাজার ৩ শ’ কোটি টাকার সোনা ও ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার হীরা অবৈধভাবে আসছে। পুরো এ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে। যার ফলে সরকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে এবং সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করেন। চলমান ডলার সঙ্কটে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানায় বাজুস।
বাজুসের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, হীরা চোরাচালানে জড়িতদের ধরতে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযান পরিচালনা করা, সোনা ও হীরা চোরাচালান প্রতিরোধে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি মনিটারিং সেল গঠন, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে সোনার বার আনা বন্ধ করা, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে সোনার বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রি সোনার অলঙ্কারের ক্ষেত্র ১০০ গ্রামের পরিবর্তে সর্বাচ্চ ৫০ গ্রাম করা, একই ধরনের অলঙ্কার দুটির বেশি আনা যাবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা