১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেবে রাশিয়া

-

সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে আফগানিস্তানের তালেবানকে বাদ দিতে চায় রাশিয়া। সে উদ্দেশ্যে বৃহত্তম বার্ষিক অর্থনৈতিক ফোরামে সংগঠনটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল তালেবান। ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী বিদায় নেয়ার পর ২০২১ সালের আগস্টে দেশটির ক্ষমতা দখল করে তালেবান বাহিনী। এরপরই আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সাথে ধীরে ধীরে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে রাশিয়া। রয়টার্স।
রুশ গণমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল তালেবান। তবে দেশটির পররাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রণালয় তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের অগ্রগতি হিসেবে রাশিয়া শিগগিরই নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দেবে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি।
এ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিভাগের পরিচালক জামির কাবুলভ জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৮ জুন সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে যোগদানের জন্য তালেবানকে আমন্ত্রণের বিষয়টি প্রশস্ত হয়েছে। আফগান নেতারা ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়ার জ্বালানি তেল পণ্য কেনায় আগ্রহী ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেন্ট পিটার্সবার্গ ইকোনমিক ফোরাম অতীতে লন্ডন এবং নিউ ইয়র্কের পশ্চিমা সিইও এবং বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাত। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে সেই পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এই যুদ্ধ ১৯৬২ সালে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের পর পশ্চিমের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের সবচেয়ে বড় সঙ্কটের সূত্রপাত করেছে।
১৯৯৪ সালে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার ও এর আশপাশের অঞ্চলে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল। ১৯৮০-এর দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী ফিরে গেলে দেশটির তৎকালীন সরকারের পতন ঘটিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিতে গৃহযুদ্ধ শুরু করেছিল তালেবান। এই বাহিনী মূলত সেই সময়ে মুজাহিদীন যোদ্ধাদের আকৃষ্ট করেছিল, যারা আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনীকে বিতাড়িত করেছিল। ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল রাশিয়া। তবে এই বাহিনীর সাথে রাশিয়া নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে বলেও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement