হঠাৎ কমেছে আমিরাতে কর্মী যাওয়া, বাড়ছে সিঙ্গাপুরে
এমপ্লয়মেন্ট ভিসা বন্ধ অন্যতম কারণ- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৫
হঠাৎ করেই মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবান্ধব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিক যাওয়ার গতি কমে গেছে। অপর দিকে আশিয়ানভুক্ত দেশ সিঙ্গাপুরে বাড়ছে কর্মী যাওয়ার হার। তবে সিঙ্গাপুর যেতে একজন কর্মীকে সরকার নির্ধারিত অর্থের ৭-৮ গুণ বেশি খরচ করে-ই যেতে হচ্ছে। আর এই শ্রমবাজারটি এখনো হাতেগোনা কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির সমন্বয়ের ‘সিন্ডিকেটের’ মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর (জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত) বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরব, দুবাই, মরিশাস, কিরগিজস্থান, ইতালী, কানাডা, জর্ডানসহ বিভিন্ন দেশে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৭ জন শ্রমিক গেছেন।
সেই হিসেবে তুলনামূলক জানুয়ারি মাসে ৮৭ হাজার শ্রমিক গেলেও পরের দুই মাস ৭৪ হাজার করে কর্মী গেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে জানুয়ারি মাসে ১০ হাজার ২৯৬ জন শ্রমিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য পাড়ি জমান। ফেব্রুয়ারি মাসে এটি কমে ৭ হাজার ৭৪৬ জনে চলে আসে। এরপরের মাস অর্থাৎ মার্চ মাসে এটি আরো কমে ৪ হাজার ৭১৮ জনে দাঁড়ায়। তুলনামূলকভাবে ৩ মাসের ব্যবধানে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক আরব আমিরাতে কম যায় বলে পরিসংখ্যান বলছে।
এ ব্যাপারে গতকাল সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির নির্বাচিত মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, আরব আমিরাতে লোক যাওয়ার হার কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে অ্যামপ্লয়মেন্ট ভিসা বন্ধ থাকা। তিনি নিজেকে এখনো বায়রার বৈধ এবং নির্বাচিত মহাসচিব দাবি করে শ্রমবাজার সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শ্রমিক বিদেশে কম বেশি যাওয়ার বিষয়টি হচ্ছে আপেক্ষিক বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা কোনো মাসে কমবে, আবার কোনো মাসে বাড়বে।
এ দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী যাওয়ার হার কমলেও বিএমইটির পরিসংখ্যান বলছে আশিয়ানভুক্ত দেশ সিঙ্গাপুরে কর্মী যাওয়ার হার এই সময়ে বেড়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৩ হাজার ৬০১ জন গেলেও পরের মাসে সেটি কমে ২ হাজার ৭৪৮ জনে দাঁড়ায়। কিন্তু সেখান থেকে গত মার্চে ২০২৪, আবার বেড়ে ৩ হাজার ৮৫৫ জনে দাঁড়ায়।
এই বাড়ার বিষয়ে অভিবাসন বিশ্লেষকরা নয়া দিগন্তকে বলছেন, শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণে সুবিধা অসুবিধার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার মে মাসের পর থেকে যদি চালু করা সম্ভব না হবে, তাহলে আমাদের টোটাল অভিবাসনের উপর নেতিবাচক একটা প্রভাব পড়তে পারে। এর বিকল্প হিসেবে আমাদের এখনই ইউরোপসহ নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করা উচিত বলে তারা মনে করছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। তাদের বিষয়ে আমাদের বেশি বেশি করে খোঁজ রাখা জরুরি। তাহলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর হারও বাড়বে। যোগ করেন তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা