এরদোগানের বক্তব্যে গর্বিত হামাস
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৪
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘মুক্তির আন্দোলন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বুধবার আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) পার্লামেন্টারি গ্রুপের বৈঠকে এরদোগানের বক্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যে লিখিত বিবৃতিতে হামাস জানায়, এরদোগানের বক্তব্যে তারা গর্বিত। ডেইলি সাবাহ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও মাতৃভূমির মুক্তির সংগ্রামে এরদোগানের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানকে হামাস গুরুত্ব দেয়। হামাস এরদোগানের প্রশংসা শুনতে পেরে ও প্রশংসা করতে পেরে গর্বিত। হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাহসী বক্তব্য এবং তার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান ভ্রাতৃপ্রতিম তুর্কিয়ে জনগণের ঐতিহাসিক ও প্রকৃত অবস্থানকে বাস্তবায়িত করেছে। গত ৭ অক্টোবর গাজায় প্রাণঘাতী হামলা শুরু করার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু-সহ ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন এরদোগান। হামাসের সংগ্রামকে ১০০ বছর আগের তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে তুলনা করে এরদোগান বলেন, আমরা এটা বলার মূল্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানি; কিন্তু বিশ্বকে অবশ্যই সত্যটা জানতে হবে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে তুরস্কের সংবেদনশীলতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এরদোগান। তিনি বলেন, আমি ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবো এবং নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে থাকব। এমনকি যদি আমাকে একা ছেড়ে দেয়া হয়...।
এরদোগান সরকার গাজা উপত্যকা শাসনকারী হামাসের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কিছু ইউরোপীয় দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুরস্ক হামাসকে কখনো ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে শ্রেণিবদ্ধ করে না। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, হামাসকে ‘মুক্তি আন্দোলন’ বলার মতো সাহস আমরাই করেছি। যারা হামাসকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ইসরাইলকে প্রশ্রয় দেয়ার চেষ্টা করছে..., তুরস্ক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রামকে প্রতিটি বাঁকে রক্ষা করে যাবে।
এরদোগান ‘বেশ কয়েকটি বিষয়’ নিয়ে আলোচনার জন্য আগামীকাল শনিবার ইস্তাম্বুলে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি, ইসরাইলের বেআইনি হামলা, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা নিয়ে হামাসের সাথে যোগাযোগ রাখছে আঙ্কারা। গত সপ্তাহে গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে গিয়ে তিন ছেলে ও কয়েকজন নাতি-নাতনীকে হারানোর পর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে দেশটি।
জাতিসঙ্ঘের মতে খাদ্য, নিরাপদ পানি ও ওষুধের মতো মৌলিক জিনিসগুলো অবরোধের মাধ্যমে গাজার ৮৫% জনগণকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির দিকে ঠেলে দিয়েছে ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন। ছিটমহলের ৬০% অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত জানুয়ারিতে ইসরাইলকে গণহত্যা না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করেছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা