গরমে যেভাবে সুস্থ থাকবেন
- ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৩
দীর্ঘ গরমে সুস্থ থাকতে সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে পরিবারের শিশু এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। ফলে খুব সহজেই পানিশূন্যতা হয়। ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণও বেরিয়ে যায়। পানি ও লবণের এই ঘাটতি দ্রুততম সময়ে পূরণ করে ফেলতে হবে।
প্রচুর পানি খেতে হবে। পানি খাওয়ার বিষয়ে কিন্তু ধরাবাঁধা পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় না। যতটা পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তা পূরণ হওয়া চাই। দেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলোকে সচল রাখতে পর্যাপ্ত পানি বা তরল খাবার রোজই খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যাতে পানিশূন্য হয়ে না পড়েন। কেবল তৃষ্ণা পেলেই পানি খেতে হবে, তা কিন্তু নয়। বরং পানি বা তরল খাবার খেতে হবে বারবার। বিশেষ করে যখন আপনি বাইরে যাচ্ছেন, শারীরিক পরিশ্রম করছেন কিংবা চুলার আঁচে কাজ করছেন, সেই সময় বারবার তরল খাবার গ্রহণ করুন। খেয়াল রাখুন, মুখের ভেতরটা যাতে শুষ্ক হয়ে না পড়ে। প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের রঙ এবং পরিমাণ লক্ষ করুন; গাঢ় হলুদ রঙ দেখলে কিংবা পরিমাণে কম হলে বুঝতে হবে, আপনি পানিশূন্যতায় ভুগছেন। বেশি ঘাম হলে ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ দেয়া পানীয় খান।
শিশুদেরও পর্যাপ্ত পানি খাওয়াতে হবে। আরামদায়ক পোশাক পরিয়ে রাখুন। হাত পরিষ্কার রাখার নিয়ম শিখিয়ে দিন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে সাহায্য করুন। কেবল হাত ধোয়ার অভ্যাসেই পেটের পীড়া, সর্দি-কাশি এমনকি কনজাংটিভাইটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাজা মৌসুমি ফলমূল খেতে দিন। শিশুদের ছায়ায় রাখুন। বাইরে নেবেন নরম রোদের বেলায়। রোজ একবার গোসল করিয়ে দিন, শিশুর উপযোগী সাবান ব্যবহার করুন। গোসলের আগে তেল আর পরে পাউডার লাগিয়ে দিতে পারেন। একেবারে তীব্র গরমের মধ্যে খুব ঠাণ্ডা কিছু খাওয়া ঠিক নয়। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা