পদ্মায় মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩০
- শরীয়তপুর প্রতিনিধি
- ২৮ মার্চ ২০২৪, ০১:১৬
আধিপত্য বিস্তার করে পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ভেদরগঞ্জের সখিপুরে বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষকারী সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
গতকাল ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা এলাকায় সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
সখিপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মার্চ কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চশমা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলামকে মাত্র ৬৭ ভোটে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় আনারস প্রতীকের নুরুল আমিন দেওয়ান। নির্বাচনের পর পরাজিত তিন প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলাম, ফজলুল হক কাওসার মোল্লা ও আব্দুল হাই খান বিজয়ী প্রার্থী নুরুল আমিন দেয়ানের বিপক্ষে জোট বাঁধেন। এরপর গত সোমবার পদ্মা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পরাজিত তিন প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আল আমিন দেওয়ান, কাঁচিকাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিটু দেওয়ান, জয় গাজী, সোনা মিয়া দেওয়ান, নজির খান, সোলেমান দেওয়ান, জাহান উল্লাহসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে আল আমিন দেওয়ান ও জয় গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে এতটুকুই জানি। তবে কি নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে বা কতজন আহত হয়েছে আমার জানা নেই। চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেয়ান বলেন, পরাজয় মেনে নিতে না পেরে আমার সমর্থক দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে হামলা হয়েছে। ওরা বেশ কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় মারধর করছে।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ২০-২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা