বিশ্বের শীর্ষ ২৫০ হাসপাতাল বাংলাদেশের একটাও নেই
প্রথম একশ’র মধ্যে নেই ভারতেরও- হামিম উল কবির
- ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
বিশ্বের শীর্ষ ২৫০ হাসপাতালের মধ্যে বাংলাদেশের একটাও নেই। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতেরও প্রথম ১০০-এর মধ্যে একটা হাসপাতালও নেই। তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর শীর্ষ পাঁচ হাসপাতালের চারটিই যুক্তরাষ্ট্রের এবং অপরদিকে এই শীর্ষ ২৫০ হাসপাতালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেরই ৪৩টি রয়েছে, জার্মানির রয়েছে ২৩টি এবং ব্রিটেনের ১১টি। তবে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২৫০ হাসপাতালের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষে অবস্থান করছে। এই দেশটির ১৩ হাসপাতাল রয়েছে তালিকায়। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং মালয়েশিয়ার একটি করে হাসপাতাল রয়েছে। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ছোট দ্বীপদেশ সিঙ্গাপুরের ছয়টি, অর্থনৈতিক পরাশক্তি জাপানের দু’টি, ভারতের দু’টি, থাইল্যান্ডের একটি, তাইওয়ানের একটি এবং ইহুদি দেশ ইসরাইলের রয়েছে তিনটি হাসপাতাল। অন্যদিকে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সমরাস্ত্রের দিক থেকে পরাশক্তি চীনের একটি হাসপাতালও নেই। এই সংক্রান্ত নিউজটি নিউজ উইক প্রকাশ করেছে। নিউজ উইক থেকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউজ ছাপিয়েছে।
পৃথিবীর হাজার হাসপাতালের ড্যাটা থেকে নিউজ উইক ও বিখ্যাত ড্যাটা বিশ্লেষক সাইট ‘স্ট্যাটিসটা’র সহযোগিতায় ৮৫ হাজার মেডিক্যাল এক্সপার্টের এবং হাসপাতাল ত্যাগের আগে যে রোগীরা হাসপাতালে থেকে পাওয়া সেবা সম্বন্ধে মন্তব্য করেছেন তাদের ভোটের পরিসংখ্যান থেকে শীর্ষ হাসপাতালের এই লিস্ট তৈরি করেছে। শীর্ষ হাসপাতালের এই তালিকা তৈরি করতে ৩০ দেশের মোট ২৪ হাজার হাসপাতালের ড্যাটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ হাসপাতালের তালিকা করেছেন। এগুলো হলো- হাসপাতালের গুণগত মানসম্পন্নসেবা, স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা ও রোগীর নিরাপত্তাব্যবস্থা, একজন ডাক্তার ও নার্সের বিপরীতে কতজন রোগী এবং হাসপাতালের সেবা সম্বন্ধে রোগী কর্তৃক গুণগত সন্তুষ্টি।
এই তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ১ নম্বর হাসপাতালটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের রোচেস্টারের মায়ো ক্লিনিক হাসপাতাল। যদিও এই হাসপাতালের কিছু বদনাম রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তবু এই হাসপাতালটিকেই পৃথিবীর শীর্ষ ১ নম্বর হাসপাতালের তালিকায় নাম দেয়া হয়েছে। মায়ো ক্লিনিক ছাড়াও তালিকার ২, ৪ ও ৫ নম্বর হাসপাতালও যুক্তরাষ্ট্রের। শীর্ষ ২৫০ তালিকায় ৩ নম্বর হাসপাতালের মর্যাদা পেয়েছে কানাডার টরন্টো জেনারেল-ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক। এই তালিকায় ২ নম্বর হাসপাতাল হলো ওহিও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, ৪ নম্বর জনহপকিন্স হাসপাতাল, ৫ নম্বর ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল, ৬ নম্বর জার্মানির বার্লিন ইউনিভার্সিটি মেডিসিন, ৭ নম্বর সুইডেনের কেরোলিনস্কা ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল, ৮ নম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের হসপিটাল ইউনিভার্সিটিয়্যার পিটুইয়ে স্যালপিটিয়্যার, ৯ নম্বর ইসরাইলের রামাত গ্যানের শেবা মেডিক্যাল সেন্টার, ১০ নম্বর স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল।
পৃথিবীর শীর্ষ ২৫০ হাসপাতালের মধ্যে মুসলিম তিন দেশের তিনটি হাসপাতাল রয়েছে। এগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, আবুধাবি। এই হাসপাতালের র্যাংকিং নম্বর ১৮৬, মালয়েশিয়ার গ্লেনিগলস কুয়ালালামপুর, এটা বিশ্বর্যাংকিংয়ে ২২৩ নম্বর এবং ২২৯ নম্বরে রয়েছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার।
২৫০ শীর্ষ হাসপাতালের মধ্যে ভারতের রয়েছে দু’টি হাসপাতাল। একটি ১১৩ নম্বর র্যাংকিংয়ে নিউদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স এবং ২৪৬ নম্বরে রয়েছে চন্ডিগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিজিআইএমইআর)। এ ছাড়া থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামুনগ্রাড ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল। এশিয়ার ছোট দেশ সিঙ্গাপুরের হাসপাতালগুলো ১১, ৭৯, ১১০, ১১৬, ১৫৬ এবং ১৬৭ স্থান অধিকার করেছে। ১১ নম্বর স্থান অধিকার করা সিঙ্গাপুরের হাসপাতালের নাম সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটাল, ৭৯ নম্বর হাসপাতালটির নাম ন্যাশনাল ইউসিভার্সিটি হাসপাতাল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা