০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১,
`

দেশের ২২ শতাংশ মানুষ খাদ্য অনিশ্চয়তায়

বিবিএসের সমীক্ষা
-

দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অর্থাৎ দেশের প্রায় প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন খাদ্য অনিশ্চয়তায় ভুগছে। এই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বেশি ভুগছে রংপুর বিভাগের মানুষ। অন্য দিকে সিলেটের মানুষ সব থেকে বেশি তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘ফুড সিকিউরিটি স্ট্যাটিসটিকস প্রজেক্ট-২০২২’ প্রতিবেদনে গতকাল এই তথ্য জানানো হয়। বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, খাদ্য পরিকল্পনা এবং পর্যবেক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক মো: শহীদুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খান মো: নূরুল আমীন, বিবিএসের কৃষি উইং পরিচালক আরাউদ্দিন আল আজাদ। আর উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক এম. আবদুল হালিম।
বিবিএস বলছে, রংপুরে প্রতি ১০০ জনে ২৯ দশমিক ৯৮ জন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন, অন্য দিকে সিলেটে ১০০ জনে ১ দশমিক ৪২ জন তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
দেশে গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হার ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ ছাড়া বরিশালে ২২ দশমিক ৮৩, চট্টগ্রামে ১৯ দশমিক ৬৬, ঢাকায় ১৬ দশমিক ৪০, ময়মনসিংহে ২৬, রাজশাহীতে ২৫ দশমিক ০১ ও সিলেটে ২৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
দেশে গড় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হার ০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া বরিশালে ০ দশমিক ৬৭, চট্টগ্রামে ১ দশমিক ১৬, ঢাকায় ০ দশমিক ৬৪, খুলনায় ১ দশমিক ০৯, ময়মনসিংহে ০ দশমিক ৫৩, রাজশাহীতে ০ দশমিক ৫১ ও সিলেটে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজন। সিলেট বিভাগের মানুষের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি, আর সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়লেও দেশের মানুষের ক্যালরি গ্রহণের হার বেড়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপুষ্টিতে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
বিবিএসের জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ১ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষ। দেশের ৭৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ মানুষের খাদ্য নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৭৯ জনেরই খাদ্য গ্রহণ নিয়ে কোনো শঙ্কায় নেই।
এ দিকে দেশের অধিকাংশ খাবার উৎপাদন হয় গ্রামে। অথচ গ্রামের মানুষের মধ্যেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাম এলাকাগুলোতে ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে, বিপরীতে শহর এলাকায় এ হার ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এমনকি চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা অধিকাংশ মানুষও গ্রামেই থাকে। গ্রামে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ মানুষ, শহরে এ হার শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ।


আরো সংবাদ



premium cement
সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে তালিবানকে বাদ দিলো রাশিয়া ‘ইলিশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে শিক্ষাব্যবস্থার বৈষম্য দূর করা হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা ইরানের যেসব স্থাপনায় হামলা করতে ইসরাইলকে নিষেধ করলেন বাইডেন প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে যেসব বিষয় তুলে ধরেছে বিএনপি হালুয়াঘাটে আকস্মিক বন্যায় হাজারো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক ধোবাউড়া উপজেলায় আকস্মিক বন্যা তাঁত শিল্পের বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করবে সরকার : বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা নাশকতার মামলায় ছাতকে আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

সকল