‘জমি-গয়না বিক্রি করে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ নয়’
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
পুঁজিবাজারে আমাদের সঞ্চয়ের এমন অংশ বিনিয়োগ করতে হবে যা আমাদের আগামী এক বছর কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীগণ অনেক ক্ষেত্রে জমিজমা ও গয়না বিক্রি করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। সেটি করা যাবে না বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম। তিনি বলেন, সব ধরনের ব্যবসায় ঝুঁকি রয়েছে। কে কতটুকু ঝুঁকি নিবে, সেটি তার নিজস্ব বিষয়। পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে কম ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতাহার হোসেন ভবনে পাবলিক এবং প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক অ্যাকাডেমিক শিক্ষা সচেতনতামূলক ধারাবাহিক কর্মশালার অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব লয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম।
সঞ্চয়ের কিছু অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার কথা উল্লেখ করে ড. রুমানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এখনই আপনাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সময়। তাই আগে সঞ্চয় করতে হবে। পরে খরচ করতে হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী ঝুঁকি নিবেন এবং কী পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন সে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা আজকের অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। একজন সচেতন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের সম্পদ। তিনি শুধু নিজের নন, তার দ্বারা সমগ্র বাজারের উপকৃত হয়।
ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, আইনি কাঠামো হলো পুঁজিবাজারের মেরুদণ্ড। এটির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা প্রদান হলো আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব। যেকোনো ধরনের কারসাজি দূর করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রয়োজন। আর এই বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান আছে।
অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। সচেতনতার অভাবে বিনিয়োগকারীগণ ক্ষতির শিকার হন। এটি দূর করতে হলে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কমিশনও চাচ্ছে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী তৈরি করতে। আর দেশের পুঁজিবাজার ভালো হলে দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।
পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক অ্যাকাডেমিক শিক্ষা সচেতনতামূলক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি পুঁজিবাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। পুঁজিবাজারবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডিএসইর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ধরনের প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং পুঁজিবাজারের প্রতি তাদের আগ্রহী করবে। আশা করি ডিএসই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে গবেষণা করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ও পুঁজিবাজার উভয়ে লাভবান হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা