২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৯৯

যাত্রীকল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী : নয়া দিগন্ত -

এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে সারা দেশে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৪৪ জন। গত বছরের ঈদুল আজহার সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা কিছুটা কম।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঈদযাত্রার দিন ২২ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার ৬ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনের তথ্য দিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল।
সংগঠনটির মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, তাদের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের মতো এবারো ঈদের ছুটিতে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঈদের ছুটির ১৫ দিনে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত এবং ৫৪৪ জন আহত হয়েছেন। বিগত ২০২২ সালের ঈদুল আজহায় যাতায়াতের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৩৩ দশমিক ১১ শতাংশ, আহত ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া এ সময়ে রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, আহত ১৫ জন ও ৬ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, প্রতিবেদন অনুযায়ী- বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেলের অবস্থান থাকলেও এবারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পশুবাহী যানবাহনের ব্যাপক চলাচল ও ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের অবাধ চলাচলের কারণে এবারের ঈদে দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, এবারের ঈদে ৮৮টি ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১৯৩ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর সাথে পাল্লা দিয়ে ৯১টি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৪ জন নিহত ও ৭৭ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৮৫ শতাংশ। তিনি বলেন, এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ৮২ জন চালক, ৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৫ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৫ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, ৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (১ পুলিশ, ১ নৌ বাহিনী, ১ র‌্যাব, ১ বিজিবি, ১ সেনাবাহিনী), ৪ জন শিক্ষক, ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হন। সংঘটিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ মোটর সাইকেল, ২৩ দশমিক ০৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-লরি, ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাস, ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কার-মাইক্রোবাস-জিপ, ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ নছিমন-করিমন ট্রাক্টর-লেগুনা মাহিন্দ্রা ও ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ সিএনজি অটোরিকশা এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement