১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজশাহীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ঘটনায় দুই পুলিশ ক্লোজড

-

রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ঘটনায় দুই পুলিশকে ক্লোজড করা হয়েছে। মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির চতুর্থ তলার ছাদ থেকে নাইমুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ (২০) নামে এক তরুণকে নিচে ফেলে দেয়া হয়েছে- এমন অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
যাদের ক্লোজড করা হয়েছে তারা হলেন- মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হায়দার আলী ও কনস্টেবল রায়হান।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জানতে আরএমপির মুখপাত্রের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। পরে মোবাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রফিকুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এরপর বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে সদ্য ক্লোজড হওয়া মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হায়দার আলী সাংবাদিকদের জানান, তাকে ও রায়হান নামে এক কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে তাদের ক্লোজড করা হয়।
জানা যায়, গত বুধবার দুপুরের দিকে রিয়াদকে আটক করে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। পুলিশের দাবি, বিকেলে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির বারান্দা থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে রিয়াদ আহত হয়। আর আটক রিয়াদের বাবা নজরুল ইসলামের দাবি, পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার ছেলেকে পুলিশ ফাঁড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
এ নিয়ে পুলিশ ও আহত রিয়াদের বাবা নজরুল ইসলামের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে ঘটনাটি ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।
তবে এর আগে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বুধবার দুপুরের দিকে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল ওই যুবককে মাদকসহ আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। ফাঁড়িতে নিয়ে নাম-ঠিকানা লেখার সময় ওই যুবক দৌড়ে চার তলার ছাদে উঠে বেলকনির পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। ওই সময় নিচে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেয়। পুলিশ পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে।
কী করে ওই যুবক ছাদে গেল- এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, মালোপাড়া ফাঁড়ির পুলিশের অসতর্কতার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত যুবকের বাবার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তার বাবার অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযুক্ত যুবকের বিষয়ে কী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে- বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলেই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement