ব্লু ইকোনমির নামে নেয়া প্রকল্পের অধিকাংশই সমুদ্রবিরোধী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
ব্লুু ইকোনমির নামে বর্তমানে যেসব প্রকল্প হচ্ছে অধিকাংশই সমুদ্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দীন মুন্না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামীর অর্থনীতি হতে পারে সমুদ্র অর্থনীতি। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের সঙ্কট, সমুদ্রের ব্যবহারবিধি না জানা ইত্যাদি কারণে এখনো সমুদ্র আমাদের ধরা- ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এ অবস্থায় পরিবেশ ও সমুদ্রবান্ধব যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব দেন তিনি।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশে সমুদ্র পরিবেশ নিয়ে কাজ করা একমাত্র সংগঠন ‘সেভ আওয়ার সি’ আয়োজিত ‘নীল অর্থনীতি : সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, বঙ্গোপসাগর নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। আমাদের দরকার অনেক বেশি কাজ। বিশেষ করে, সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন। গবেষণা বাড়ানো গেলে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর থেকে অনেক সম্পদ অর্জন করতে সক্ষম হবে।
সেভ আওয়ার সি’র সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ারুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তোস কুমার দেব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আজম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম চেম্বারে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ‘ব্লু ইকোনমি : রিয়েলাইজিং দ্য পটেনশিয়াল অব মেরিন ফিশিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বার এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (বিসিই) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ মেরিন ফিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাইস অ্যাডমিরাল (অব:) জহির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং প্রকল্প পরিচালক (টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্প), মৎস্য বিভাগ খ. মাহবুবুল হক, ডিপ সি ফিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্জিত সমুদ্রসীমায় মৎস্য, গ্যাস, তেল, খনিজসহ অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদ যথাযথভাবে আহরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ এবং বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমার প্রায় ৭১০ কিমি আয়তনবিশিষ্ট দীর্ঘ উপকূল এবং ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিমি সামুদ্রিক এলাকা নিয়ে বিরাজমান ব্লøু ইকোনমিতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টার ভিত্তিতে বহু কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামুদ্রিক মাছ আহরণ খাতে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ এবং নীতি সহায়তা প্রদান, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মৎস্য রফতানি বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক খ. মাহবুবুল হক বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য পতেঙ্গায় একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে ‘রিয়েল টাইম মনিটরিং’ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা