২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রাণ নেই রাজধানী বিনোদন কেন্দ্রে

-

করোনা আতঙ্কে প্রাণহীন হয়ে পড়েছে রাজধানীর সব বিনোদন কেন্দ্র। গতকাল নগরীর শিল্পকলা, শাহবাগ, রবীন্দ্র সরোবর, রমনা পার্ক, শ্যামলী শিশু পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পটগুলো ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলোতে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অন্যান্য দিনের মতো হইচই ছিল না। প্রত্যেকের আলোচনায় ছিল করোনাভাইরাস। চেহারায় ছিল আতঙ্ক।
রবীন্দ্র সরোবরের ফাস্ট ফুডের দোকানি কমল জানান, তাদের দোকানে আগে যে পরিমাণ বিক্রি হতো গত কয়েক দিনে তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, এখন যারা আসছেন, তাদের মধ্যে কোনো আনন্দ নেই। সবাই মনে হয় চিন্তিত।
আরেক বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন বিকেল হলেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আড্ডাপ্রেমীরা রবীন্দ্র সরোবরে ভিড় করতেন। এখন তা আর নেই। যারা আসেন তারা প্রত্যেকেই নিজেদের মধ্যে কেন জানি আগের মতো আন্তরিক হতে পারেন না। যার প্রভাব পড়েছে তাদের বেচাকেনাতে।
রাজধানীর রমনা পার্কে গতকাল গিয়ে খুব একটা লোক সমাগম দেখা যায়নি। পার্কের নিরাপত্তাকর্মী জানান, করোনা আতঙ্কে পার্কে লোকজনের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। ভোরবেলা যারা হাঁটতে আসতেন তাদের মধ্যেও অনেকে আসছেন না। তিনি জানান, যারা আসেন তাদের অবস্থায় মনে হয় সবাই আতঙ্কিত। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না।
শিল্পকলা একাডেমিতেও কমেছে সংস্কৃতিকর্মীদের আড্ডা। যারা নিয়মিত আসতেন তাদেরও অনেকে আসা ছেড়ে দিয়েছেনে। নিয়মিত আসেন এমন কয়েকজন জানান, এমনিতে রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। তার সাথে যারা একান্ত প্রয়োজনে বাইরে বের হন তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে আর এখানে আসতে চান না।
রাজধানীর আড্ডার প্রাণকেন্দ্রে বেইলী রোডেও এখন আর আড্ডা নেই। ফাস্ট ফুডের দোকানগুলো এখন প্রায় ফাঁকা। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি যাদের আনাগোনায় ব্যস্ত থাকতে হতো কর্মচারীদের তারা এখন অলস সময় পার করছেন। সিটি জুস এর ম্যানেজার জানান, আগে তাদের দোকানে মানুষের লাইন থাকত। এখন অবস্থা তার ঠিক উল্টো। যে পরিমাণ ক্রেতা এখন আসেন, তাতে দোকান খরচ চালানোই কঠিন হয়ে গেছে। একই অবস্থা কেএফসি, বোমারসসহ অন্য দোকানগুলোর।
বিক্রেতারা জানান,অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হন না। এতে বেচাকেনা কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আটকে গেছে ব্যবসায়ীদের বিপুল বিনিয়োগ। অবস্থা এ রকমই চলতে থাকলে মাস শেষে দোকান ভাড়া দেয়া সম্ভব হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এসব দোকানি।


আরো সংবাদ



premium cement