সংস্কারের নামে ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না : আব্দুল আউয়াল মিন্টু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, সংস্কারের নামে যদি ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে বিএনপি মেনে নেবে না। অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। আমরা চাই না, আপনার ব্যর্থ হোন। গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে দেড় লাখ মিথ্যা মামলা হয়েছে। সংস্কার সংস্কার করে তালবাহানা করবেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত মোকাবেলায় ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরো বলেন, বাংলাদেশে দু’টি বড় দল আছে। এখন একটা। আরেকটা দল পালিয়ে গেছে। ওই দল যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই মানুষের মানবাধিকার লুণ্ঠন করে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল প্রহসনের নির্বাচন।

ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দীন বিদেশীদের সাথে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তারা ক্ষমতায় বসানোর পরপরই নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য এ দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্বাতন, লাঞ্ছনা-বঞ্চনা শুরু করে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড, সাগর-রুনি হতাকাণ্ডসহ গত ১৬ বছরে প্রায় আট হাজার মানুষকে গুম-খুন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
মানুষের সর্বপ্রকার অধিকার হরণ করেছে। আর এ সরকার নাকি সংস্কার করবে। যদি আপনারা সংস্কার করতে চান প্রথমে যেটা দরকার সেটি হলো পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের পেতাত্মাদের বিচার করতে হবে।
যখন তাদের বিচার করতে পারবেন তখন বুঝব আপনাদের ক্ষমতা আছে। তিনি আরো বলেন, আপনার ক্ষমতায় বসে আছেন; কিন্তু কোনো দায়িত্ব পালন করছেন না ঠিকমতো। অতএব আমরা চাই ক্ষমতার ব্যবহারের আগে দায়িত্ব পালন করুন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল।

যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের অধিকার, ওই পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাতান্ত্রিক দল থেকে আমাদের দেশের মানুষকে অধিকার ফেরত দিয়েছে। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। একইভাবে ১৯৯০ সালে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তখন স্বৈরাচারী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার গঠন করেছি। তখন আমাদের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমি একই সাথে আমাদের সেই নেত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করি। তিনি এখন বিদেশে আছেন, চিকিৎসা করাচ্ছেন, আশা করি অতি শিগগিরই উনার স্বাস্থ্য ঠিক হয়ে যাবে এবং আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের সঞ্চালনায় জনসভায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন ও আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।