ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ ইয়ামিনের লাশ তুলতে দেয়নি পরিবার
- সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাভারের প্রথম শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলতে দেয়নি তার পরিবার। ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করতে না পেরে ফিরে গেছেন ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আলী হাসান। আদালতের নির্দেশে গতকাল দুপুরে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় লাশ উত্তোলনে গেলে মামলার বাদি এবং শহীদ ইয়ামিনের পরিবার আপত্তি জানায়। এতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাভারের পাকিজা মডেল মসজিদের কাছে গত বছরের ১৮ জুলাই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগসহ নেট দুনিয়া ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ইয়ামিনকে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে একজনকে টেনে নিচে ফেলা হচ্ছে দেখা গেছে। তিনি সাঁজোয়া যানের চাকার কাছে সড়কে পড়ে থাকেন। এরপর পুলিশের এক সদস্য সাঁজোয়া যান থেকে নিচে নামেন। এক হাত ধরে তাঁকে টেনে আরেকটু দূরে সড়কে ফেলে রাখেন। এখানেই শেষ নয়, পরে কয়েকজন পুলিশ মিলে তাঁকে টেনে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে ঠেলে অপর পাশে ফেলে দেন। শহীদ ইয়ামিনের বাবা-মহিউদ্দিন জানান- আমার ছেলে দিনের আলোতে প্রকাশ্য দিবলোকে শত শত মানুষের সামনে যে ঘটনা ঘটছে লাশ তুলতে হবে কেন। কারণ যদি এমন হতো যে, কথার কথা যে রাতের বেলায় কেহ মারছে, বা আত্মহত্যা করছে এটা ফাইন্ড আউট করতে পারছে না। তিনি আরো জানান, পুলিশ তাদের শটগান দিয়ে গুলি করে মেরেছে। এটা বাংলাদেশসহ বিশ^ মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এটা আমরা কোনো ভিডিও বানিয়ে দেই নাই। এটা আবার ময়নাতদন্তের কিছু নেই। আমার ছেলে গেছে,আমার মেয়ের ভাই গেছে, আমরা আর তার অসম্মান করতে চাই না।
ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আলী হাসান নয়া দিগন্তকে জানান, মামলার বাদি শহীদ ইয়ামিনের মা, বোনসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন আপত্তি জানিয়েছেন, এবং লিখিত দিয়েছেন, সে জন্য আমরা লাশ উত্তোলন কার্যক্রম স্থগিত রেখেছি। আমরা তাদের আবেদনসহ অন্যান্য বিষয় আদালতকে অবহিত করব। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত যে নির্দেশনা দেবে যে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
ইয়ামিনের বাবা মহিউদ্দিন নয়া দিগন্ত জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের সামনে পুলিশের শটগানের গুলিতে যে ঘটনা ঘটছে সবাই তা দেখছে। এটা বাংলাদেশসহ বিশ^মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এমন তো না যে, সে অন্যভাবে মরছে ফাইন্ড আউট করা যাচ্ছে না। আমার ছেলেকে পুলিশ কিভাবে মেরেছে সব প্রকাশ্য দেখা গেছে। আমরাত ভিডিও বানিয়ে দেই না। তাই আমার সন্তান, আমার মেয়ের ভাইকে আমরা আর অসম্মান করতে দেবো না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা