রাজনৈতিক ঐকমত্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আলোচনা শুরু ফেব্রুয়ারিতে
সংস্কার কমিশন নিয়ে ৩ উপদেষ্টার ব্রিফিং- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৭
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে চার সংস্কার কমিশন সুপারিশমালা জমা দিয়েছে। এ সুপারিশমালার ভিত্তিতে দ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, এ আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের সদস্য হিসেবে ছয়টি কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন। তৃতীয় ধাপে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। চতুর্থ ধাপে হবে বাস্তবায়ন।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের ইচ্ছা আছে, প্রত্যাশা আছে পুরো কাজই সম্পন্ন করে যেতে পারব। তবে, এটা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর, তারা কতটুকু সংস্কার করতে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারে।
তিনি বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে বলেছেন, আমরা ন্যূনতম কিছু সংস্কার সম্পন্ন করে যদি ইলেকশন করতে চাই তাহলে এ বছরের মধ্যে হওয়া সম্ভব। আর যদি আরো কিছু সংস্কার, প্রত্যাশিত মাত্রায় করতে চাই তাহলে আরো কয়েক মাস লাগতে পারে, সামনের বছরের (২০২৬) জুনের মধ্যে। আমাদের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যখন আলাপ করা হবে, তখন আমরা চিহ্নিত করব যে ন্যূনতম সংস্কার কোনগুলো আছে, এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য আছে কি না। এর বাইরে যেসব প্রত্যাশিত সংস্কার আছে, সেগুলোও চিহ্নিত করার চেষ্টা করব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কমিশন প্রধানেরা স্বাধীনভাবে তাদের মতামত বা সুপারিশ জমা দিয়েছে। এখন এই কমিশন প্রধানরা এসব নিয়ে বসবেন। এখান থেকে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, কোথায় কোথায় প্রাধান্য দেয়া উচিত, সেটা তারা ঠিক করবেন। আগামীকাল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি কমিশনের সময় আরো এক মাস বাড়িয়ে দেয়া হবে। আর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আপনারা পাবেন। আজকে আপনারা (সাংবাদিক) পাচ্ছেন চারটি কমিশনের (সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন সংস্কার, দুদক সংস্কার ও পুলিশ সংস্কার কমিশন) রিপোর্টের নির্যাস বা সারসংক্ষেপ ।
তিনি বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তারা (কমিশন) যেহেতু স্বাধীনভাবে কাজ করেছেন, সমন্বয়ের কাজটা কমিশনই করবে। প্রায়রিটি (অগ্রাধিকার) ঠিক হবে, কোনগুলো আমরা বেশি এক্সারসাইজ করব, সেগুলো ঠিক হবে। এক দিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি আছে, জনগণের কিছু দাবি আছে। কোনগুলো নিয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করব, রোডম্যাপটা কী হবেÑ এক মাসের মধ্যে এটা চূড়ান্ত করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি। আর এখন থেকে কমিশন প্রধানরা তাদের রিপোর্টগুলো কীভাবে করেছেন, সেগুলো নিয়ে কথা বলবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা