যৌথবাহিনীর হাতে আটকের পর সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
- নোয়াখালী অফিস
- ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৯
নোয়াখালীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আব্দুর রহমান (৩৩) তিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হীরাপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে। সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমান (২৫) নামে দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুইজনেরই শরীরে ফুলা ও জখম ছিল।
নিহত আবদুর রহমানের চাচা মো: হানিফ অভিযোগ করেছেন, সোমবার ভোররাতের দিকে যৌথবাহিনী তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে ভাতিজা আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে তাদের ঘর থেকে আটক করে যৌথবাহিনী এবং পরিবারের সদস্যদের সামনেই মারধর করা হয়। পরে সকালে স্থানীয় পশ্চিমপাড়া বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে জানানো হয়। এরপর সকাল ৮-৯টার দিকে তাদের সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।
হানিফ জানান, ভাতিজাকে থানায় সোপর্দের পর তারা সেখানে গিয়ে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। তখন পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। তখন পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর পর আদালতে আবেদন করলে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। হানিফ আরো বলেন, থানা থেকে তাদের আদালতে নেয়া হয় বিকেল ৫টায়। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার ভাতিজা আব্দুর রহমান মারা যায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। তখন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যখন পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয় তখন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। প্রথমে তাদের স্থানীয় সোনাইমুড়ী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া পূর্বের তিনটি মামলা রয়েছে। আর হাবিবের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের লম্বা দুইটি গুলি ও তিনটি রাম দা জব্দ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা