০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬
`

বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

-


বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। শীত বাড়ায় জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি এবং চীনের প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে আস্থা ফিরেছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। দেশটির প্রবৃদ্ধির পালে হাওয়া লাগবে, এ পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তেলের দাম বেড়েছে। রয়টার্স
সোমবার সকালে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৫ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ বেড়ে ৭৬.৬৬ ব্যারেল উঠেছে। এ ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২২ সেন্ট বা ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪.১৮ ডলারে উঠেছে। এতে করে গত ১১ অক্টোবরের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন সর্বোচ্চ।
এদিকে, নিজেদের অর্থনীতি চাঙা করতে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েই যাচ্ছে চীন। গত শুক্রবার ২০২৫ সালে দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের মাধ্যমে বাজারে আরো অর্থ সরবরাহের পরিকল্পনা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। ব্যবসা—বাণিজ্যে গতি আনতেই তাদের এই উদ্যোগ। এ ছাড়া চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে যে, প্রয়োজন হলে ব্যাংকের নগদ জমা সংরক্ষণের হার ও সুদহার কমানো হবে। অর্থাৎ ব্যাংকের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে তারল্য ধরে রাখার লক্ষ্যেই এ কথা বলেছে তারা।
গতি হারিয়ে কয়েক বছর ধরেই ধুঁকছে চীনের অর্থনীতি। সেই সাথে দূষণ কমাতে পরিবহন খাতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়েছে চীন। এতে দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানির আমদানি কমেছে। ফলে বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা হিসেবে দেশটির যে অবস্থান ছিল, তা অনেকাংশে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইরানের তেল উৎপাদন ও রফতানি উভয়ই কমবে। দেশটির নীতিগত কিছু পরিবর্তন নতুন মার্কিন প্রশাসনের আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। গোল্ডম্যান স্যাকসের হিসাব, ইরানের দৈনিক তেল উৎপাদন ৩ লাখ ব্যারেল কমতে পারে। এতে করে দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদন কমে দাঁড়াতে পারে ৩২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিয়াশীল তেলের খনির সংখ্যাও একটি কমেছে।
দীর্ঘদিন দাম কম থাকার পর ২০২১ সাল থেকে বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। ২০২২ সালে রাশিয়া—ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম সর্বোচ্চ ১৩৯ মার্কিন ডলারে ওঠে। সেই বছর তেলের দাম গড়ে ১০০ ডলারের ওপরে উঠেছিল। এর পর থেকে অবশ্য কমতে শুরু করে দাম। ২০২৩ সালে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ ৯৮ মার্কিন ডলারে উঠেছিল। গড় দাম ছিল ৮৩ ডলার। তেলের দাম বাড়ানোর জন্য জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রভাবশালী সংগঠন ওপেকের পক্ষ নানান সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরও দাম তেমন একটা বাড়েনি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে হামাস—ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও অতটা প্রভাব পড়েনি তেলের দামে। ২০২৪ সালে তেলের দাম আরো কমে ৭০ ডলারের মধ্যে ছিল। ২০২৫ সালে তেলের দাম ৬০ ডলারে নামতে পারে বলেও পূর্বাভাস জেপি মরগ্যানের।

 


আরো সংবাদ



premium cement