২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুষ্টিয়ায় বিজিবি-বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক

-

কুষ্টিয়ার সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতার মনোভাব বজায় রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীনস্থ চিলমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ১৫৭/২-এর কাছে (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) বিএসএফ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ এর সাথে বিজিবি- ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
কুষ্টিয়া (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি, বিএসএফ এর কমান্ড্যান্টকে জানান যে, ১৮ ডিসেম্বর চিলমারী বিওপির প্রতিপক্ষ চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের ফায়ারিং এর ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা নির্ণয় এবং পুনরাবৃত্তি রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে এই সৌজন্য সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়। তিনি আরো বলেন, সীমান্তে কোনো ধরনের ফায়ারিং কাক্সিক্ষত নয়। বিএসএফ এর কমান্ড্যান্ট জানান যে, কাউকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে নয়, শুধুমাত্র চোরাকারবারিদের ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য ফাঁকা ফায়ার করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশী জনসাধারণের ওপর কোনো অবস্থাতেই প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বা ফায়ারিং না করার বিষয়ে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে অনুরোধ জানান। বিএসএফ কমান্ড্যান্ট এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে উভয় দেশে বিদ্যমান চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে গুরুতারোপ করেন।

চিলমারী এলাকার বিপরীতে ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে যে পরিখা খনন করা হয়েছে তা কী উদ্দেশ্যে খনন করা হয়েছে জানতে চাইলে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জানান যে, এটা শুধুমাত্র অবৈধভাবে গরু-মহিষের চোরাচালান রোধের উদ্দেশ্যে খনন করা হয়েছে। এটা কোনো প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহারের জন্য খনন করা হয়নি।
কুষ্টিয়া সীমান্তে অতিরিক্ত জনবল বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে, বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জানান যে, শুধু সীমান্তে অবৈধভাবে চোরাচালান ঠেকানোর জন্যই বিএসএফ এর জনবল বাড়ানো হয়েছে।
বিএসএফ কমান্ডান্ট আরো জানান যে, ভারত থেকে মাদকদ্রব্য, নিষিদ্ধ পণ্য ও গরু-মহিষ যাতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সে বিষয়ে আগ থেকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অনুরোধ জানানোর ফলে তারা গত তিন মাসে ৯০০০ বোতল ফেনসিডিল, ২০০ কেজি গাঁজা, মদ ও হেরোইনসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গরু-মহিষ ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হতে আটক করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ভারতীয় চোরাকারবারিসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভারতীয় দুষ্কৃতকারীকে সুনির্দিষ্ট অপরাধের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল মো: মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের রওশনবাগ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement