আমিরাতে বন্ধ থাকা ভিসা উন্মুক্ত হবে ফেব্রুয়ারিতে

সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে আগ্রহীদের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ হামুদি। গত সোমবার রাতে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত হামুদি সেখানে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, জুলাই বিপ্লবে কিছু প্রবাসী নিজের ভাইয়ের, সন্তানের মৃত্যু ও গণহত্যা সহ্য করতে না পেরে নিজের ক্ষতি হবে জেনেও আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগকে কিভাবে শ্রদ্ধা জানাবো তা আমার জানা নেই। মনে রাখতে হবে, নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে আমাদেরকে আরো সতর্ক ও স্বতঃস্ফূর্ত হতে হবে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব উন্নয়নে বাংলাদেশীদের অবদান অনস্বীকার্য। এ দেশের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আর উঁচু উঁচু দালান সব কিছুতেই বাংলাদেশী শ্রমিকদের ঘাম লেগে আছে। তাই আমরা আশা করতে চাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিভিন্ন পেশায় দক্ষ জনবল নিয়োগে আরো বেশি আন্তরিক হবে। বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি প্রফেশনাল এবং অদক্ষ শ্রমিকদের ভিসার বিষয়টি আরো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত আনসারী।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে সুখবরটি দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশীদের জন্য আমিরাতের ভিসা জটিলতা দূর হবে। চালু হবে ভ্রমণ ভিসাসহ সব ধরনের ভিসা।
ইউএই রাষ্ট্রদূত আল হামুদি বলেন, বাংলাদেশসহ অসংখ্য দেশের জন্য আমিরাতের ভিসা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কয়েক বছর আগে যেখানে আমিরাতে বাংলাদেশীর সংখ্যা মাত্র সাত থেকে আট লাখের মধ্যে ছিল, সেখানে বর্তমানে বাংলাদেশীর সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যেটা অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত মুশফিক আমার বন্ধু। বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার লড়াই সংগ্রাম আমাকে উৎসাহিত করে। তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। থ
ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাকির হোসেন ও দুবাইয়ের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল আশফাক হোসেন প্রমুখ।