২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বর্ধনশীল জনসংখ্যা ও নগরায়নের চাপ সামলানো চট্টগ্রামের বড় চ্যালেঞ্জ : মেয়র ডা: শাহাদাত

-

দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর নগরায়ণের চাপে থাকা চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন। আর এ জন্য নগরবাসীর সহায়তা চান মেয়র। চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, শিল্পায়ন ও নগরায়ণের চাপ সামলানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল চিটাগাং পুলিশ ইনস্টিটিউশনের সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের আয়োজনে রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সিটি মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, সুপরিকল্পনার অভাবে চট্টগ্রামের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও চট্টগ্রাম এখন জলাবদ্ধতা, বর্জ্য আর যানজটে ভুগছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণের সহায়তা চাই। চট্টগ্রামকে সুন্দরভাবে সাজানোর চেষ্টা করছি। সেজন্য আপনারা আমাকে রাস্তায় রাস্তায় দেখছেন। আগে যারা ছিল তারা হয়তো রাস্তায় রাস্তায় আসত না। কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি রাস্তায় আসতে। তিনি বলেন, জনগণের খেদমত করতে এখানে এসেছি। আমি আগেও বলেছি আমি কোনো জনগণের পিতা নয়; জনগণের সেবক হতে এসেছি। আমি নগর পিতা নয়; নগরের সেবক হয়ে কাজ করতে এসেছি। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে কোনো জনদুর্ভোগ দেখলে; সেটা রাস্তা হোক, ময়লা হোক, ডাস্টবিন হোক, মশা হোক বা অন্য কিছু হোক আপনার আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। আমি মনিটরিংয়ের মধ্যে আছি এবং সেটা সবসময় থাকব। ইনশা আল্লাহ আমি আশা করছি, জনগণকে নিয়ে আমি একটি ক্লিন, গ্রীন, হেলদি চট্টগ্রাম সিটি চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিবো।

সুস্থ বিনোদনের সুযোগ বাড়াতে কাজ চলছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি চসিকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প নিচ্ছি নাগরিকদের সুস্থ বিনোদন সুবিধা বৃদ্ধিতে। এ ছাড়া রেলওয়ে, গণপূর্তসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর সাথেও ভূমি বরাদ্দের জন্য যোগাযোগ করেছি। আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, জিয়া শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি বিপ্লব উদ্যানে একটা স্ট্রাকচার করা হচ্ছিল সেটি ভেঙে গ্রীন পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি শিশুদের খেলার অধিকার নিয়েও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। টার্ফ গড়ে উঠার কারণে অসচ্ছল ঘরের ছেলেরা খেলতে পারছে না। এ কারণে আমার ইচ্ছা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নিশ্চিত করা। শিশুদের খেলার মাঠে ফিরাতে পারলে মাদক সমস্যা, কিশোর গ্যাং কমে আসবে। আমার ইচ্ছা নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, ওয়াকিং স্পেস ও শিশুপার্ক গড়ে তুলব। খেলার মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা শিশুদের শরীর চর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, প্রাক্তন শিক্ষক ফরিদ আহমেদ, নুর মোহাম্মদ, মো: শামসুল আলম, উম্মে হাবীবা, সামসুন নাহার, সাধন চন্দ্র মহাজন, আবদুল হান্নান মিরন, আয়োজক ৯৯ ব্যাচের ছাত্র বখতেয়ার হোসেন, নুরু হোসেন নুরু, কামরুল হাসান সাগর, মারুফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মঞ্জুরুল হাসান, কামরুল হাসান সোহাগ, মমতাজ আক্তার ও সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে কারাভোগ শেষে ফিরল ১৫ বাংলাদেশী নারী-শিশু ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিভ্রান্তিকর : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কত টাকা বেতন পান সুনীতা উইলিয়ামস? জার্মানির ক্রিসমাস বাজারে গাড়ির তাণ্ডবে নিহত ২, আহত ৬৮ গাজায় কী করবেন ট্রাম্প? সিরিয়ার নতুন নেতার গ্রেফতারে কোটি ডলার পুরস্কার প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনূসসহ ২০ জন উপদেষ্টার উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবর ভুয়া এটিজেএফবি’র সভাপতি তানজিম, সাধারণ সম্পাদক বাতেন নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখতে চায় বিএনপি আল আজহার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান প্রফেসর ইউনূসের উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই

সকল