২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জামালপুরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা অফিসারের অর্ধেক পদ শূন্য

-

জামালপুরে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা চলছে। জেলার সাত উপজেলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পদ ৪২টি। যার মধ্যে শূন্য রয়েছে ২১টি। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এক হাজার ১৬৪টি। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে প্রধান শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ৪৬৯ জন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতটি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অন্তত ছয়জন করে ৪২জন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পদ রয়েছে। যার মধ্যে ২১টি অর্থাৎ অর্ধেক পদই শূন্য। যে কারণে স্কুল পরিদর্শন বা সঠিক তদারকি কঠিন হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি ১১৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে প্রধান শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪৬৯ জন। আর ২২৯ জন সহকারী শিক্ষককে দেয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চলতি দায়িত্ব। তবে ওই শিক্ষকরা জানেন না কোন পদে চাকরি করছেন তারা। এখন তারা না প্রধান শিক্ষক, না সহকারী শিক্ষক।
এ দিকে ২২৯ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠানে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এক সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেয়ায় অন্যান্য শিক্ষকরা তাদের মন থেকে গ্রহণ করতে পারছেন না। এতে প্রশাসনিক জটিলতার পাশাপাশি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে।

অন্যদিকে জেলায় ৪৩ জন কর্মচারীর পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৮ জন। এতে অফিসিয়াল কার্যক্রমেও স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ২১৮ জন সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।
সব কিছু মিলে নদ-নদী বিধৌত ও বন্যাকবলিত জামালপুরে প্রাথমিক শিক্ষায় এখন বেহাল অবস্থা চলছে। লোকবল সঙ্কট, শিক্ষকদের কাজে ফাঁকি, কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী উপস্থিতির হার ৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনক কমে যাওয়ার তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পতিত সরকার সাধারণ শিক্ষায় মুসলমানদের উপর বিতর্কিত যে কারিকুলাম চাপিয়ে দিয়েছিল সেটি মেনে নেয়নি ধর্মপ্রাণ মানুষ। তাই তারা মাদরাসামুখী হয়ে উঠেছেন। তবে যত্রতত্র কওমি মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলকে শিক্ষার্থী কমার জন্য দায়ী করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পাশাপাশি স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম বন্ধ হওয়ার বিষয়টিকেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমার কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, বিগত সরকার জেনারেল শিক্ষায় মুসলমানদের ওপর হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। চাপিয়ে দিয়েছিল বিতর্কিত কারিকুলাম। যেটি মেনে নেয়নি এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। যে কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় বিমুখ হয়েছেন অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। ঝুঁকে পড়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষার দিকে।
জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খান নয়া দিগন্তকে বলেন, কিভাবে দুর্গম এই জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করব, আমার জনবল অর্ধেক। ১১৬৪ প্রধান শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত মাত্র ৬৯৫ জন। তাও আবার ২২৯ জন সহকারী শিক্ষক আছেন চলতি দায়িত্বে। ৪২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসারের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ২১ জন, ৪৩ জন অফিস স্টাফের মধ্যে আছন ১৮ জন। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে জনবল সঙ্কট বাধা হয়ে কাজ করছে বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে কারাভোগ শেষে ফিরল ১৫ বাংলাদেশী নারী-শিশু ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিভ্রান্তিকর : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কত টাকা বেতন পান সুনীতা উইলিয়ামস? জার্মানির ক্রিসমাস বাজারে গাড়ির তাণ্ডবে নিহত ২, আহত ৬৮ গাজায় কী করবেন ট্রাম্প? সিরিয়ার নতুন নেতার গ্রেফতারে কোটি ডলার পুরস্কার প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনূসসহ ২০ জন উপদেষ্টার উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবর ভুয়া এটিজেএফবি’র সভাপতি তানজিম, সাধারণ সম্পাদক বাতেন নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখতে চায় বিএনপি আল আজহার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান প্রফেসর ইউনূসের উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই

সকল