১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিজেপি নেতাদের সাথে মমতাও আবোল তাবোল বকছেন!

-

বাংলাদেশী মুসলিম শিল্পীদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সিনেমা করতে হলে বাংলাদেশে হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, নয়তো তাদের বয়কট করা হবে বলে শর্ত দিয়েছেন ভারতের বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্য।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে কলকাতার অনেক স্বনামধন্য পরিচালককে প্রশ্ন করা হলেও মুখ খোলেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শমীক বলেন, কোনো শিল্পীসত্তা বা কোনো প্রতিভাকে আমরা কোনো ধর্ম বা উপাসনার মোড়কে রাঙিয়ে দিতে চাই না বা তাদের বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদেরকে বয়কট করতে হবে। এই মুহূর্তে ওপার বাংলার যারা মুসলিম ধর্মাবলম্বী অভিনেতা অভিনেত্রী আছেন তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করুন। এই ঘৃণ্য হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন তারপর শুটিংয়ে নামুন।

কলকাতার টলি পাড়ার শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উনি তো ওপার বাংলার মানুষ, টলিউড তার নিয়ন্ত্রণে। বিষয়টা উনি দেখুক; শুধু খেলাধুলা দেখলে হবে না। উনি অনেক বিধি নিষেধ আরোপ করেছিলেন, তপন সেনের শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যারা ওপারে অত্যাচার করবে আর এপারে এসে সিনেমা করবে আর প্রতিবাদ করবে না এটা তো হতে পারে না। আমি তো নাম করে বলছি গৌতম ঘোষের প্রতিবাদ কোথায় গেল? প্রসেনজিতের মতো একজন অভিনেতা অন্তত তার থেকে তো সমাজ এটা প্রত্যাশা করে।
জয়া আহসান কলকাতায় আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শমীক বলেন, উনি কলকাতায় কেন থাকবেন না? উনি অভিনয় করতে এসেছেন। কিন্তু উনি প্রতিবাদ করুন। জয়া আহসানের হিন্দু দর্শক তো ওপার বাংলাতেও আছেন। উনি জয়া আহসান না হয়ে জয়া ভাদুরি হলে একটা প্রশ্ন ছিল। কিন্তু উনি জয়া আহসান। তাকে প্রতিবাদ করতে হবে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সাংবাদিকদের বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশটিতে বর্তমানে কে কার পন্থী কেউ জানে না। দেশটিতে এখন সবাই মৌলবাদী। যে অত্যাচার আফগানিস্তানে হয়নি সেই অত্যাচার আজকে বাংলাদেশে হচ্ছে।
এ সময় বাংলাদেশী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর প্রসঙ্গ তুলে শমীক বলেন, চঞ্চল চৌধুরী বিখ্যাত নাম। এখন তিনি গৃহবন্দী। বাংলাদেশের অন্যান্য নায়ক নায়িকাদের নাম বলে আমি আর তাদের ব্যস্ত করতে চাই না। যারা এ দিকে আশ্রয় নিয়ে আছে তারা ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক।
এ দিকে বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ফোর্ট উইলিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তিনি জানেন না। কেন্দ্রীয় সরকার তাকে জানায় না। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও বাংলার ভূমিকা কখনই ভুলতে পারি না। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন, তাদের কখনই ভুলতে পারব না। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি কী আমি জানি না। আমাকে জানানো হয় না। এই বিষয়ে কিছু বলাটা আমার পক্ষে ঠিক হবে না। বিষয়টা ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনার হাতে।’


আরো সংবাদ



premium cement