জামায়াত উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেবে : গোলাম পরওয়ার
- খুলনা ব্যুরো
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী আগামী দিনে একটি উন্নত কল্যাণরাষ্ট্র দেশবাসীকে উপহার দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই জামায়াতের সহযোগী ভাইদের আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে পড়তে হবে। অসহায় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে হবে। অসহায় মানুষকে আর্থিকভাবে উন্নয়ন করতে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামের আদর্শ দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষকে আধিপত্যবাদ মুক্ত একটি উন্নত ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র উপহার দিবে ইনশাআল্লাহ।
জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল গতকাল রোববার সকালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের তপোবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মাগুরখালী ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় সম্মেলনে খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মোক্তার হোসাইন, নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার আব্দুর রশীদ ও মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, উপজেলা সনাতনী সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মণ্ডল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সনাতনী ধর্মাবলম্বী মাগুরখালী ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ কুমার, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, ডা: হরিদাস মন্ডল, মাস্টার গৌতম মন্ডল, মাওলানা মোসলেম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সরদার, ছাত্রশিবির নেতা আবু তাহের, শামিদুল হাসান লিমন, স্বদেশ হালদার, বাবুল আক্তার, ইউপি সদস্য বিবেকানন্দ মহাদেব ও বিকাশ চন্দ্র সরদার ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমাদের দেশে কুরআনের বিধান চালু নেই। এজন্য নাগরিকগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ তার প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে শপথ নিতে হবে এ পথে হয়তো আমরা বিজয়ী হবো নতুবা আমাদের জীবন চলে যাবে। তবুও এ থেকে আমরা বিচ্যুত হবো না। জামায়াতে ইসলামীর সবাইকে নিজেদের পরিবার, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করতে হবে।