সুজন ও হাঙ্গার প্রজেক্টের উদ্যোগে নাগরিক উৎসব
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
‘গণতন্ত্রের পথে, চলি একসাথে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নাগরিক সংগঠন সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের যৌথ উদ্যোগে ‘ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা’ প্রকল্পের আওতায় গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পল্টিপারপাস হলরুমে, দিনব্যাপী নাগরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবে দেশের ৩০টি জেলায় প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত মাঠপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রকল্পের কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরা, উন্মুক্ত আলোচনা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ৪২টি গণতন্ত্র অলিম্পিয়াডে বিজয়ী ১২৬ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে একটি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিয়াডে বিজয়ী ১১ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। অতিথি ছিলেন, সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বিচারপতি এম এ মতিন, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো: আনোয়ার হোসেন, ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান ও আবু সাঈদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। নাগরিক উৎসবটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্প ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সারা দেশে তৈরিকৃত এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে, যা নিরসনে সবাইকে চোখ কান খোলা রেখে কাজ করে যেতে হবে। বিগত সরকারের কিছু ব্যক্তির উসকানিতে যারা না বুঝে সমস্যা সৃষ্টি করছেন, দেশকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তাদেরকে প্রতিহত করতে সবাইকে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় থাকতে হবে। ৪টি নির্বাচন বাদে দেশের বাকি সংসদ নির্বাচনগুলো ভোটার অংশগ্রহণের দিক থেকে গ্রহণযোগ্য হয়নি। সুজন দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে কাজ করছে, নির্বাচনের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা করার মূল দায়িত্ব দেশের জনগণের। বাইরে থেকে এসে কেউ এটা রক্ষা করে দিবে না। আমাদেরকেই সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। বর্তমান সংস্কার কমিশনগুলো তাদের সুপারিশ জমা দিবে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত এ সুপারিশগুলো নিয়ে জনগণের মধ্যে ঐক্য তৈরি করা। আবু সাঈদ, মুগ্ধদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। আমাদেরকেই তাদের লড়াই এগিয়ে নিতে হবে।
মুনিরা খান বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণ নির্বাচন নিয়ে সচেতন হলে, সোচ্চার হলে সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় না। গণতন্ত্র নিশ্চিত ক্রতে হলে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে তা ধরে রাখতে তরুণদের আরো সজাগ থাকতে হবে। অর্থ, পেশিশক্তি এবং নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে গণতন্ত্রের পথে আমাদের এগিয়ে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সুজন দীর্ঘদিন ধরে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেবল সুজনই নয় দেশের প্রতিটা মানুষকে চোখ কান খোলা রেখে দৃষ্টি প্রসারিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা