মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যয় বাড়ছে ৫১৯ কোটি টাকা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণব্যয় প্রায় ৫১৯ কোটি টাকা বাড়ছে। একটি ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে এই ব্যয় বাড়বে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প ব্যয় বাড়বে মোট ৫১৮ কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ৬১৬ টাকা।
জানা গেছে, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে সার-সংক্ষেপটি প্রধান উপদেষ্টা দেখেছেন ও অনুমোদন করেছেন এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির আজকের সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। সভাটি সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, এ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। মূল ডিপিপিতে প্রকল্পটির মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১৯ সাল থেকে ১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত এবং এর প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল মোট ৬৩২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। পরে বাস্তবতার নিরিখে এ বছরের ২৮ মে তারিখে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় বর্ধিত প্রকল্পের সংশোধিত (১ম) ডিপিপি অনুমোদিত হয়। সংশোধিত (১ম) ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এবং এর প্রাক্কলিত ব্যয় মোট ৭৬১.৯৬ কোটি টাকা করা হয়। প্রকল্পের আওতায় পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য প্যাকেজের আওতায় চার টি কম্পোনেন্ট রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৬ মে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার সুপারিশের ভিত্তিতে বর্ণিত ক্রয়কার্য হংকংভিত্তিক জেডএইচইসি-বিওডব্লিউ-এসএমইডিআরআইসি যৌথভাবে ভ্যাট-আইটিসহ সর্বমোট ৪৩৯ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯৮ টাকা (যার মধ্যে নির্মাণ ব্যয় ৪১০ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৬৩১ টাকা এবং নির্মাণ পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ২৯ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৭ টাকা) বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে জেডএইচইসি-বিওডব্লিউ-এসএমইডিআরআইসির সাথে ওই বছরের ৫ জুলাই বেজার ক্রয় চুক্তি সম্পাদিত হয়।
বেজার পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি সরবরাহের জন্য ৫০ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন দুইটি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মূল চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত পূর্ত কাজের আওতায় একটি ৫০ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। যেখানে অপরিশোধিত পানি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে সরবরাহের লক্ষ্যে ৮০০ মিমি. ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো একটি ৫০ এমএলডি ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করার জন্য ট্রান্সমিশন পাইপলাইনের একই রুট ব্যবহার করে ৮০০ মিমি. ব্যাসের আরো একটি পাইপলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এর ফলে একই রুট ব্যবহার করে দু’টি ট্রান্সমিশন পাইপলাইন নির্মাণ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে ও কারিগরি বিবেচনায় একই রুটে দু’টি ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপন অত্যন্ত জটিল ও ব্যয় বহুল। সে বিবেচনায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউ এম) কর্তৃক ৮০০ মিমি. ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের পরিবর্তে ১০০০ মিমি. ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের সুপারিশ করা হয়, যার মাধ্যমে দুইটি ৫০ এমএলডি ক্ষমতার সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর অপরিশোধিত পানি পরিবহন সম্ভব হবে। সে প্রেক্ষিতে সংশোধিত ডিপিপিতে সংস্থান সাপেক্ষে নির্বাচিত ঠিকাদারের সাথে সম্পাদিত মূল চুক্তির ভেরিয়েশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বর্ণিত ভেরিয়েশনে ৮০০ মিমি. ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনের পরিবর্তে ১০০০ মিমি ব্যাসের ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপনসহ পানি শোধনাগারের প্রবেশরাস্তা এবং পানি শোধনাগারের মাটি ভরাট কাজ চূড়ান্ত লেআউটে ৫০মি. ও ১৫০মি. জায়গা মাটি ভরাট কাজও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা