২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

ফুলকপির যত উপকারিতা

-

শীতের তরতাজা ফুলকপি এখন বাজারে। পুষ্টিগুণে ভরপুর শীতের সবজিটি নিয়মিত রাখা চাই পাতে। রসনা বিলাসের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধে এই সবজির রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। কারণ ফুলকপি খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ জটিল কিছু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ফুলকপিতে থাকা খনিজ।
অন্যান্য শীতকালীন সবজির মতোই ফুলকপিতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। এ ছাড়া আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার মেশানো ক্যালসিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতাতেও ক্যালসিয়াম রয়েছে। ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে, যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। গবেষণা মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সাথে সম্পর্কিত, যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপি বিশেষ কার্যকর। ফুলকপি ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করে। এ ছাড়া মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফুলকপি বেশ উপকারী। কারণ, এতে ক্যালোরি কম; কিন্তু ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ফাইবার। এ ছাড়া ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে। কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে। চোখের যতেœ ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার মাত্রা খুব কম। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে কিডনি সুস্থ রাখতে ফুলকপি সহায়ক হয়। এ সবজিতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং আরো কিছু নিউট্রিয়েন্ট। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফুলকপিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ‘সি’ ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধেও সহায়ক।
তবে এত এত ভালো গুণ থাকার পরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই জনপ্রিয় সবজি না খাওয়াই ভালো। ফুলকপি আঁশ ও পানিসমৃদ্ধ। অতিরিক্ত ফাইবার বা আঁশসমৃদ্ধ যেকোনো কিছু অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ব্লøটিং বা পেটফাঁপা ও গ্যাস তৈরি হতে পারে। ফাইবার বা আঁশ আমাদের হজম হয় না, এ জন্যই এটি উপকারী; কিন্তু যদি খুব বেশিই খেয়ে নিই, তাহলে হজম না হওয়াটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া ফুলকপিতে ভিটামিন ‘কে’-এর পরিমাণ বেশি, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের জন্যও ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। ইন্টারনেট।

 


আরো সংবাদ



premium cement
স্মিথের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাব দিচ্ছে ভারত ইয়েমেনের হাউছি ও ইসরাইলের মধ্যে সঙ্ঘাত বৃদ্ধির নিন্দা জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩ কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ঢাকায় স্বাগত জানাবে লাখো জনতা গফরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টর দুমড়ে-মুচড়ে আহত ৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েদের ৫ উইকেটে হারাল ভারত ৮০ ঘণ্টায় পাঠ করা হলো ফিলিস্তিনি শহীদদের নাম জাপানে বয়স্ক জনসংখ্যা ও প্রতিরক্ষা খাতে রেকর্ড বাজেট অনুমোদন নোয়াখালীতে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে গলা কেটে হত্যা নোয়াখালীতে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা লংগদুতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বার্ষিক সম্মেলন

সকল