সরকার এটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অ্যাকশন নিয়েছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭
‘আমরা মনে করি দেশের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান হলেও মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও পার্বত্য এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রত্যেকের প্রত্যেকের সাথে। আমাদের বিশ্বাস এই সম্পর্ক কোনো দিন ভাঙবে না। আমাদের একজনের প্রতি একজনের যে অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এটা কোনো দিনও নষ্ট হবে না। আমাদের বাংলাদেশ সেই ধরনের, আমরা নাগরিক সেই ধরনের। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদনের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে স্বপ্রণোদিত হয়ে ইসকন নিষিদ্ধ ও তিন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করতে আদেশে চেয়ে আইনজীবী মনির উদ্দিন ২৭ নভেম্বর আবেদন করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কাছে অগ্রগতি জানতে চান। সে অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ বৃহস্পতিবার সকালে অবহিত করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন আদালতে বলেন, সরকার এটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এবং প্রধান একটি ইস্যু ধরে অ্যাকশন নিয়েছে। পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করেছে। তিনটি মামলার একটিতে ১৩ জন, একটিতে ১৪ জন ও অপরটিতে ৪৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ছয়জনকে শনাক্ত করা গেছে, যারা এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। আর যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিশ্চয়ই আরো তথ্য বের হয়ে আসবে।
আসাদ উদ্দিন আরো বলেন, পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। শুধু চট্টগ্রামেই নয়, যেসব স্থানের কথা এসেছে, যেসব জায়গায় এ ধরনের তৎপরতা দেখা গেছে, প্রত্যেক জায়গাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। সরকার এটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অ্যাড্রেস করেছে।
এ সময় আদালত বলেন, আমরা শুনে আশ্বস্ত হলাম, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন। ঘুরে ফিরে একটাই কথা, দেশের জনগণের জান ও মাল, কারও যেন কোনো ক্ষতি না হয়, এটা সবারই চিন্তা। আপনারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন শুনে আদালত আশ্বস্ত হয়েছে।
আদালত আরো বলেন, কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, উনাদের তৎপরতা যেন জারি থাকে। অবশ্য জারি তো রাখবেনই আইন অনুসারে, যাতে কোনো কর্নার থেকে কেউ কোনো কথা বলতে না পারে।
ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়ে আইনজীবী মনির উদ্দিন বলেন, ১০টি রাষ্ট্রে ইসকন নিষিদ্ধ। অতীতে রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেফতার করে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো বিবৃতি দেয়নি। মসজিদ রক্ষার জন্য লোক মারা গেছে, তখনো কোনো বিবৃতি নেই। ভারত থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হলো, চিন্ময় দাসকে মুক্তি দেয়া হোক। তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে আমাদের আইনজীবী ভাইকে হত্যা করা হলো। খুবই বিভীষিকাময়। এদের কার্যক্রম খুবই বিশৃঙ্খল ও উচ্ছৃঙ্খল।
তখন আদালত বলেন, রাষ্ট্র সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিষয়টি দেখছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। রাষ্ট্র সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছে, এটি উনাদের দায়িত্ব। আমাদের জানমালের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সুতরাং, এখানে এই মুহূর্তে আদালতের ইন্টারভেনশনের (হস্তক্ষেপ) প্রয়োজন পড়ে না। রাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক বলেন, তিনটি মামলা হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য যত ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায়, সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে যেকোনো আদেশ দেয়া সমীচীন হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা