বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন জটিলতা
- শাহেদ মতিউর রহমান
- ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৪
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল সভা ডেকেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই বৈঠকেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্র্থীদের ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সূত্র জানায়, চার বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও বিভিন্ন অজুহাতে সেটি পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। তবে গত দুই বছর বিভিন্ন গুচ্ছে ভাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম চালু হয়েছিল। কিন্তু এর পরেও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই গুচ্ছের বাইরে থাকার জন্য নানা যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু চলতি বছর কোনো ধরনের আগাম ঘোষণা ছাড়াই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে গিয়ে পৃথকভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তারা। সূত্র জানায়, শুধু জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এরইমধ্যে প্রকৌশল গুচ্ছও ভেঙে যাচ্ছে। এ গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া কৃষি গুচ্ছে থেকে বের হয়ে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জিএসটি অ্যাডমিশন সিস্টেম বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হলো বাংলাদেশের একটি বার্ষিক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের ৯টি সাধারণ, ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির যোগ্যতা নিরূপণ করা হয়। অন্য দিকে গুচ্ছ প্রক্রিয়া ছাড়াও দেশের সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের জন্য পৃথক গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা এবং তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। এর বাইরে আরো তিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে চলতি বছরে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নয়া দিগন্তকে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি থাকবে কি না, তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার সভা ডেকেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই আজকের (বুধবারের) সভাটি শেষ হয়েছে।
এ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযাগ কর্মকর্তা সিরাজ উদ-দৌলা খান নয়া দিগন্তকে জানান, সভায় গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিদের মতামত গ্রহণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সাথে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের অধ্যাদেশের অধীনে পরিচালিত চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট ছাড়াও কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আওতাধীন নয়। তবে বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা