মাটি পরীক্ষায় কৃষকের দোরগোড়ায় যাচ্ছে গবেষণাগার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মাটি পরীক্ষায় দেশের ৪৯ জেলার ৫৬টি উপজেলার কৃষকের দোরগোড়ায় যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম সার ব্যবহারে কৃষককে উৎসাহিত করতে মাটি পরীক্ষার এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)। এই কর্মসূচির আওতায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার দেশের ৪৯ জেলার ৫৬টি উপজেলায় মাটি পরীক্ষা করবে। মাত্র ২৫ টাকা ভর্তুকি মূল্যে (প্রকৃত খরচ ৪৪০ টাকা) কৃষকরা ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা করতে পারবেন। এসআরডিআই-এর কর্মীরা মাটি পরীক্ষার পর কৃষককে সার সুপারিশ কার্ড সরবরাহ করবেন।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো: ছাইফুল আলম। এসআরডিআই-এর মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এসআরডিআই-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমীর মো: জাহিদ প্রমুখ।
এবার ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা কর্মসূচির স্লোগান ‘মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম সার ব্যবহার করুন, অধিক ফসল ঘরে তুলুন।’ ডিএই’র ডিজি মো: ছাইফুল আলম বলেন, ‘মাটি ভালো না হলে ফসলও ভালো হয় না। ফসল উৎপাদন বাড়াতে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটির গুণাগুণ যাচাই করতে হবে। এর জন্য মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট মাটি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। মাটি পরীক্ষার পর মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড ব্যবহারে কৃষকরা উপকৃত হবে।’
মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখা ছাড়া বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন এসআরডিআই-এর মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ‘মাটি কৃষি উৎপাদনের একমাত্র মাধ্যম। মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখা ছাড়া বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। মৃত্তিকা মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’ এসআরডিআই’র তথ্য অনুসারে, ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) রবি-২০২৪ মৌসুমের কর্মসূচি মোতাবেক ১৭ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাটি পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই কর্মসূচির আওতায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার দেশের ৪৯ জেলার ৫৬টি উপজেলায় মাটি পরীক্ষা করবে। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার নির্ধারণ উপজেলায় সাধারণত তিন-পাঁচ দিন অবস্থান করবে এবং মাটি পরীক্ষা ও ফসলের সুষম মাত্রার সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করবে। মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ করলে ফলন ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, উৎপাদন খরচও ১০-১৫ শতাংশ কম লাগে, সারের অতিরিক্ত ব্যবহার হ্রাস পায়, সর্বোপরি পরিবেশদূষণ (মাটি, পানিদূষণ) থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মাটি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১০টি ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার। নদ-নদীর নামে নামকরণ করা গবেষণাগারগুলো হচ্ছে, যমুনা, তিতাস, রূপসা, তিস্তা, মধুমতি, কর্ণফুলী, ব্রহ্মপুত্র, কীর্তনখোলা, সুরমা ও করতোয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা