১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জ্ঞানের বাতিঘর মিসরের প্রাচীন গ্রন্থাগার আলেকজান্দ্রিয়া

৮০ লাখ বই রাখার ব্যবস্থা
মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া গ্রন্থাগার। ইনসেটে বিশেষ প্রতিবেদক আশরাফুল ইসলাম : নয়া দিগন্ত -


মিসরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দরনগরী আলেকজান্দ্রিয়া। রাজধানী কায়রো থেকে ২২০ কিলোমিটার উত্তরে ভূমধ্যসাগর তীরে অবস্থিত শহরটিতেই পৃথিবীর প্রাচীনতম লাইব্রেরি বিবলিওথেকা আলেকজান্দ্রিয়া। বর্তমানের মতো অতীতেও এই নগরী ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বাণিজ্যের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। আলেকজান্দ্রিয়া শহরের নামকরণ করা হয়েছে মহামতি আলেজান্ডারের নামানুসারে। মৃত্যুর পর তাকে এখানেই সমাহিত করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে বাতলামিউসের শাসনামলে এটি নির্মাণ করা হয়। গ্রন্থাগারটি তখন ‘আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থাগার বা আলেকজান্দ্রিয়ার রাজ-গ্রন্থাগার’ হিসেবে পরিচিত ছিল। ভূমধ্যসাগরের তীর ঘেঁষে সুবিস্তীর্ণ আয়তন নিয়ে গড়ে উঠা বিখ্যাত আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটি ওপর থেকে স্তরে স্তরে নিচের দিকে ঢালু হওয়া এক অত্যাধুনিক প্রকৌশলের রূপায়ণ। বাইরে থেকেই এর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দর্শকদের আকৃষ্ট করে। এর দেয়ালে খোদাই করা আছে বাংলাসহ বিশ্বের বিদ্যমান ও বিলুপ্ত প্রায় সব ভাষার বর্ণমালা।

আধুনিক গ্রন্থাগার : ১৯৭৪ সালে ভূমধ্যসাগর তীরে যেখানে প্রাচীন গ্রন্থাগারটি এক সময় দাঁড়িয়েছিল, সেখানেই পুরোনো লাইব্রেরিটিকে পূর্ণ জীবিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৯৫ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া লাইব্রেরি কমপ্লেক্সটি ২০০২ সালের ১৬ই অক্টোবর উদ্বোধনের পর খুলে দেয়া হয় দর্শকদের জন্য।
গত ৯ নভেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল এ লাইব্রেরিটিতে আছে ৮০ লাখ বই রাখার মতো শেলফের ব্যবস্থা। মূল পাঠকক্ষটি প্রায় ৭০ হাজার বর্গ মিটারের যা ১১টির মতো চৌবাচ্চার ওপর অবস্থিত। মূল কমপ্লেক্সে একটি বিশাল কনফারেন্স সেন্টার, ৪টি মিউজিয়াম, ৪টি গ্যালারি। অস্থায়ী প্রদর্শনীর জন্য একটি প্লানেটেরিয়াম, পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য আছে ল্যাব। মূল পাঠকক্ষের ওপর রয়েছে ৩২ মিটার দীর্ঘ কাচ দিয়ে ঘেরা ছাদ, দেয়াল তৈরি করা হয়েছে ধূসর বর্ণের আসওয়ান গ্রানাইট দিয়ে, যাতে ১২০ রকমের হস্তলিপি খোদাই করা আছে। লাইব্রেরিতে ইন্টারনেট আর্কাইভে পুস্তক, দলিলগুলোর অনুলিপি সংরক্ষিত আছে, প্রয়োজনবোধে সেখান থেকে এসপ্রেসো বুক মেশিনের সাহায্যে বই প্রিন্ট করে নেয়া যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাইব্রেরিতে শত শত জ্ঞানপিপাসু নিরবে তাদের জ্ঞানের সাধনা করছেন। পিনপতন নিরবতার মধ্যে তারা বই পড়ছেন। কেউ বা নোট করছেন।

ভূমধ্যসাগরের উপকূল ঘেঁষে একটি সুবিশাল ছয় তলা ভবনের প্রথম তলায় দর্শন, ধর্মীয় বিষয়াবলি, ভূগোল, ইতিহাস, মানচিত্র, দুর্লভ গ্রন্থগুলো এবং এগুলোর সিডি প্রভৃতি রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কিত গ্রন্থগুলো, শ্রবণ ও দর্শনযোগ্য যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ। তৃতীয় তলায় শিল্পকলার ৭০০, সংগীতের ৭৮০ ধরনের এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গ্রন্থ। চতুর্থ তলায় পাণ্ডুলিপি, বিভিন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পকলার নিদর্শন, বিশ্বকোষ, সাধারণ জ্ঞান, গ্রন্থাগার বিজ্ঞান, ইউরোপ, মিসর প্রভৃতি সম্পর্কে লক্ষাধিক গ্রন্থ। পঞ্চম তলায় কনফারেন্স হল, মিটিং রুম, টলেমি গ্যালারি, ত্বহা হুসাইনের গ্রন্থাগার এবং মানববিদ্যা সম্পর্কিত হাজার হাজার বই। ষষ্ঠ তলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং গবেষণার জন্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক স্টাডি সম্পর্কিত শাখাগুলো রয়েছে। এ তলায় লাইব্রেরিয়ানদের কক্ষ রয়েছে। যেখান থেকে পুরা লাইব্রেরি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করা হয়। লাইব্রেরির অধিকাংশ গ্রন্থ আরবি, ইংরেজি, ফারসি, ফরাসি, ইতালি, জাপানি প্রভৃতি ভাষায়।

লাইব্রেরি চত্বরে অবস্থিত বিশাল গম্বুজের জাদুঘর রয়েছে। যেখানে প্রাচীন মিসরীয় ক্যালেন্ডার ছাড়াও বিশ্বশাসক বিশেষত সুলতান মাহমূদ গযনভী এবং সুলতান কুতুবুদ্দীন আইবেকসহ পৃথিবীর বিখ্যাত শাসকদের ছবি রয়েছে।
প্রাচীন গ্রন্থগার : টলেমির (খ্রি পূর্ব ৩০৭-২৮৩) শাসনামলেই আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাচীন কালের জ্ঞানবিজ্ঞানের তীর্থভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই আলেকজান্দ্রিয়া নগরী ও লাইব্রেরিকে। বিভিন্ন দেশের অসংখ্য পণ্ডিতদের পদচারণায় মুখরিত থাকত এই লাইব্রেরি। আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রায় ১০০ বছর পর সেরাপিয়ার মন্দিরকে কেন্দ্র করে আরেকটি ছোট লাইব্রেরি গড়ে ওঠে। একে আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরির ডটার লাইব্রেরি বলা হয়। আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিতে প্রচুর পরিমাণে প্যাপিরাসের স্ক্রৌল সংরক্ষিত ছিল যার মধ্যে গণিত, ধর্ম, ইতিহাস, দর্শণ, জ্যাতির্বিদ্যা, ভূগোল, ব্যাকরণ, চিকিৎসাবিদ্যার স্ক্রৌল বেশি ছিল।
জানা যায়, আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটি রাজ পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিসরের শাসন ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই লাইব্রেরিটি বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। এই সময় একদল পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন যারা আইন ও বিচারসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন ও দেখাশুনা করতেন। এই লাইব্রেরির ইতিহাস সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। প্রচলিত মিথ ও ইতিহাসের মিশ্রণ ঘটেছে লাইব্রেরির ইতিহাসের সাথে। এই লাইব্রেরি সম্পর্কে সবচেয়ে প্রাচীন বর্ণনা পাওয়া যায় হেলেনিস্টিক দার্শনিকদের লেখা খবঃঃবৎ ড়ভ অৎবংষবধং (খ্রি:পূ: ১৮০-১৪৫) বইয়ে। আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটি টলেমীর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হলেও এই লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠায় যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন দিমিত্রাস ফেলিরোন। ফেলিরোন ছিলেন অ্যারিস্টেটলের ছাত্র। এই লাইব্রেরিটি অনেকটা অ্যারিস্টেটলের লাইসিয়ামের আদলে গড়ে তোলা হয়েছিল।

গ্যালেনের বর্ণনা থেকে জানা যায়, লাইব্রেরিতে বই সংরক্ষণের পদ্ধতি ছিল বেশ রোমাঞ্চকর। আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বই সংগ্রহ করে তা অনুবাদ করে প্যাপিরাসের স্ক্রৌলে লিখে রাখত এবং সংরক্ষণ করত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বই সংগ্রহের জন্য লাইব্রেরিটির আলাদা লোকবল ছিল। তারা অ্যাথেন্স ও রোডেসের বইমেলা থেকেও বই সংগ্রহ করত। বই সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে গ্যালেন তার বর্ণনায় বলেছেন, আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে নোঙর করা কোনো জাহাজে যদি কোনো পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় তবে তা জোরপূর্বক হলেও লাইব্রেরিতে নিয়ে আসা হতো। এখানে তারা পাণ্ডুলিপিটির একটি অনুলিপি তৈরি করত এবং মূল পাণ্ডুলিপিটি লাইব্রেরিতে সংরক্ষতি করা হতো এবং অনুলিপিটি মালিককে ফিরিয়ে দিতো। গ্যালেনের আরেকটি বর্ণনায় পাওয়া যায়- টলেমী-৩ অ্যাথেন্সের শাসককে অনুরোধ করেন অবংপযুষঁং, ঝড়ঢ়যড়পষবং ও ঊঁৎরঢ়রফঁং এর গ্রন্থগুলো ধার দিতে লাইব্রেরির জন্য। অ্যাথেন্সের শাসক বইগুলো ধার দিতে রাজি হয় তবে তার বিনিময়ে ১৫ টেলাস (৪৫০ কেজি) মূল্যবান ধাতু দাবি করেন মূল্য হিসেবে। টলেমী-৩ এই মূল্য হাসিমুখে পরিশোধ করে বইগুলো সংগ্রহ করেন। এ ছাড়াও টলেমী পরিবারের অনেকেই পর্যটক ছিলেন। তাদের হাত ধরে এসেছে অনেক বই। আবার এই লাইব্রেরিতে অনেক পণ্ডিত আসতেন বিদেশ থেকে তাদের হাত ধরেও এসেছে কিছু বই। আবার অনেক সময় দেশী বিদেশী পন্ডিতগণ এখানে গবেষণা করতেন এবং তারা যে বইগুলো লিখেন সেগুলোও এখানে সংরক্ষণ করা হতো। আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিতে ঠিক কতগুলো স্ক্রৌল ছিল সে সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। যেহেতু এই সময় বইগুলো প্যাপিরাসের স্ক্রৌলে লিখে রাখা হতো তাই একটি বই বা বিষয়কে লিখে রাখার জন্য একাধিক স্ক্রৌল ব্যবহার করা হতো। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন এখানে প্রায় ৬০০০০০ স্ক্রৌল ছিল। তবে অনেকই ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন এখানে ৫০০০০০ স্ক্রৌল ছিল। সেরাপিয়ার ডটার লাইব্রেরিতে প্রায় ৪০০০০ স্ক্রৌল ছিল বলে ধারণা করা হয়।

আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরির ধ্বংস : আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটি কিভাবে ধ্বংস হয়েছিল সে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। যে তথ্য পাওয়া যায় তার মধ্যেও বিতর্ক রয়েছে। এই বিতর্কের মধ্যেও আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি ধ্বংসের পিছনে দুইজন ব্যক্তিকে সরাসরি দায়ী করা হয়- এরা হলেন জুলিয়াস সিজার ও বিশপ থিওফিলাস। প্রচলিত ইতিহাস অনুসারে জানায় যে, আলেকজান্দ্রিয়ায় কখনো বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হয়নি যার কারণে লাইব্রেরিটি ধ্বংস হতে পারে। তবে কয়েক শতাব্দীব্যাপী বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার আগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় যার ফলে লাইব্রেরিটি ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। লাইব্রেরি ধ্বংসের প্রথম ঘটনাটি ঘটে খ্রি:পূ: ৮৯-৮৮ অব্দে। এই সময়ে টলেমী-৮ আলেকজান্দ্রিয়ার শাসনকর্তা ছিলেন। তার সময়ে দেশে গৃহযুদ্ধের সূচনা হয় এবং দেশ ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। গৃহযুদ্ধ চলাকালে লাইব্রেরির কিছু অংশে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই সময় অনেক পণ্ডিত প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে চলে যান। আবার কথিত আছে, টলেমী-৮ অনেক বিদেশী পণ্ডিতদের লাইব্রেরি থেকে বের করে দেন। অ্যাথেনিয়াস খ্রি ২০০ অব্দে এই লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। তিনি তার এক বর্ণনায় বলেছেন- অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি বিশেষ করে ব্যাকরণবিদ, দার্শনিক, ভূগোলবিদ এবং চিকিৎসকরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা শিক্ষকতার মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। টলেমী-৮ এর সময় রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ হয়ে যায়। গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি হলেও এই লাইব্রেরিটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যেগ নেয়া হয়নি।

পরবর্তী অগ্নিসংযোগ হয় রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সময় খ্রি:পূর্ব ৪৭ অব্দে। এই সময় রোমান সেনাবাহিনী মিসর জয় করে। মিসর ও রোমের এই যুদ্ধে অংশ হিসেবে সিজার আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেনেকার (খ্রি:পূর্ব ৩ - খ্রি: ৬৫) মনে করেন, এই অগ্নিসংযোগে প্রায় ৪০০০০টি স্ক্রৌল আগুনে ভষ্মীভূত হয় এবং এই লাইব্রেরির অনেক স্ক্রৌল রোমান সেনাবাহিনী লুট করে রোমে নিয়ে আসেন। এই কারণে হয়তো অনেকেই আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি ধ্বংসকারী হিসেবে সিজারের নামই উচ্চারণ করে। যাই হোক, এই পর্যায়ে লাইব্রেরিটির কিছুটা ক্ষতিসাধন হলেও লাইব্রেরিটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়নি। ৪০০০০ স্ক্রৌল লাইব্রেরির একটি ক্ষুদ্রাংশ ছিল। আর যেখানে স্ক্রৌলগুলো সংরক্ষিত ছিল সেখানে আগুন পৌছায়নি। পরবর্তী অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে প্রায় ৩০০ বছর পরে খ্রি. ২৭৩ অব্দে। এই সময় পলিমারের রানী জেনেবিয়া সম্রাট অ্যারেলিয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এই বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে অ্যালেরিয়ান ও জেনেবিয়ার মাঝে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে অ্যালেরিয়ান লাইব্রেরিটির যে অংশ অক্ষত ছিল সেখানেও অগ্নিসংযোগ করেন। ফলে লাইব্রেরিটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়। তবে এই সময় সেরাপিয়ার ডটার লাইব্রেরিটি অক্ষত থাকে। বিশপ থিওফেলাসের প্যাগান দমন : পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলে খ্রিষ্টান ধর্মের আধিপত্য লক্ষ করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement