গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে কাজ করা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য : নাহিদ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ-আহতদের নিয়ে কাজ করা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার সাথে ৬ উপদেষ্টার বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আহতদের রাস্তায় নামতে হলো কেন? আপনাদের সাথে কি সমন্বয়ের অভাব ছিল? সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে। উত্তরে তিনি বলেন, এটা একেবারেই অনাকাক্সিক্ষত। কিন্তু আহত এবং যারা শহীদ তারা কিন্তু শুধু সরকারের সাথে সম্পর্কিত না। তারা রাষ্ট্র ও জাতির সাথে সম্পর্কিত। তাদের শ্রদ্ধা, সম্মান করা এ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের কর্তব্য। বর্তমান সরকারের দিক থেকে সেটা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজনৈতিক আলাপে ও মিডিয়ায় তাদের কথাবার্তা কিন্তু কম ফোকাস করা হচ্ছে।
এর আগে বৈঠকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধর যমজ ভাই ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ অংশ নেন।
আহতদের দেয়া হবে আইডি কার্ড, সরকারি সেবা মিলবে বিনামূল্যে
আহত যোদ্ধাদের ইউনিক আইডি কার্ড দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী দায়িত্ব পাওয়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. সায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিত রূপরেখা দেয়া হবে। পরে টাইমলাইন অনুযায়ী সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. সায়েদুর রহমান বলেন, আহত যোদ্ধাদের ইউনিক আইডি কার্ড থাকবে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তারা সারাজীবন বিনামূল্যে সেবা পাবেন। যেসব বেসরকারি হাসপাতালের সাথে সরকারি চুক্তি থাকবে সেখানেও বিনামূল্যে সেবা পাবেন তারা।
তিনি বলেন, ১৭ নভেম্বরের পর সাপোর্ট সেন্টার থাকবে। সেখান থেকে সব ধরনের সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হবে। আহতদের চিকিৎসায় সব সরকারি হাসপাতালে বেড ডেডিকেটেড থাকবে। ঢাকার সব হাসপাতালকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এ বিষয়ে গাফিলতি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা