পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতাকে দেখতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। তবে কেউ কেউ বলছেন, তদন্ত করে দেখলে দেখা যাবে, ‘আহত ছাত্র-জনতাকে একটি পক্ষ উসকে দিয়েছেন। যে কারণে নানা অভিযোগ নিয়ে গতকাল আহতরা উপদেষ্টাকে ঘেরাও করার চেষ্টা করেন।’ গতকাল উপদেষ্টা ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে সাথে নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আহত সবার সাথে দেখা না করার অভিযোগ করে তারা সমবেত হয়ে বিভিন্ন সে্লাগান দিতে থাকেন। গতকাল দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম নিটোর পরিদর্শনে আসেন। তারা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখে চলে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনতলার ওয়ার্ডে থাকা আহতদের দেখতে না যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তারা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। একপর্যায়ে আন্দোলনে আহতদের একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন, একজন গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন এবং আরেকজন গাড়ির ওপর উঠে পড়েন। সমবেত আহতরা গাড়িতে কিল-ঘুষি মেরে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নেমে আসতে বলেন, গাড়ির চালকসহ অন্যদের। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে বিক্ষোভকারীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেয় এবং রাস্তায় অবস্থান নেয়।
আহতরা বলছেন, ম্যাডাম আগে থেকে ঠিক করা কিছু রোগীর সাথে কথা বলেছেন, তাদের প্রত্যাশা ছিল তিনি যেন সবার খোঁজ নেন এবং সমস্যার কথা শুনে সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ নেন। কয়েকজন আহত বলেছেন, মনের কথাগুলো শোনাতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ খাওয়া-দাওয়ার মান নিয়েও অভিযোগ করেছেন। চিকিৎসাধীন আহতরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে উপদেষ্টার জন্য অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের নির্ধারিত ব্রিফিং না করেই তিনি হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, এক একটা ওয়ার্ডে ৪৮ জন মানুষ। তারা (উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত) অল্প কয়েকজনের সাথে কথা বলে চলে গেছেন, আমাদের সাথে কোনো কথা বলেননি। আমরা কথা বলতে গেলেও আমাদের বাধা দেয়া হয়েছে। সামান্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে তিন মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে হাসপাতালে। পরে একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা নিটোর থেকে বেরিয়ে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল থেমে যায়।
এ দিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, হাসপাতালের চতুর্থতলায় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ভিড়ের মধ্যে গায়ে হাত দেয়ার অভিযোগ করে একদল মানুষ অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা কর্ণপাত করেননি।
নিটোরের পরিচালক ডা: কাজী শামীম উজজামান জানান, যুক্তরাজ্য থেকে আসা দুইজনের চিকিৎসক টিম হাসপাতালে আহত ৮৫ জন রোগীকে দেখেছেন এবং ১৬ জনের সার্জারি করেছেন এবং আজ বৃহস্পতিবার আরো দুইজনের সার্জারি করবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা