অসদাচরণের দায়ে রাজউকের এক প্রধান প্রকৌশলীর পদাবনতি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অসদাচরণ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তির আওতায় এসেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) উজ্জ্বল মল্লিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৩৮(১) দফা খ(অ) মোতাবেক আদেশ জারির তারিখ হতে ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য ‘নিম্নপদে অবনতকরণ’ অর্থাৎ ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকার বেতন স্কেলের নিম্ন স্কেল ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকার স্কেলে ৪৩,০০০ টাকার মূল বেতনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে নামিয়ে দেয়ার গুরুদণ্ড আরোপ করা হয়। গতকাল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব:) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) উজ্জ্বল মল্লিক ২০২০ সালের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন ফরম তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) আবদুল লতিফ হেলালীর নিকট থেকে গ্রহণ না করে প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌসের কাছ থেকে নিয়ে জমা দিয়েছেন মর্মে আবদুল লতিফ হেলালী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) মো: নুরুল ইসলামের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উজ্জ্বল মল্লিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে গত ১৩ আগস্ট দাখিলকৃত তার জবাব সন্তোষজনক প্রতীয়মান হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৩৭(খ) মোতাবেক অসদাচরণ দায়ে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় মামলা রুজু করে ১৮ আগস্ট অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী প্রেরণ করা হয়। তিনি অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণীর জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ২৫ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত শুনানি শেষে ঘটনা প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের সদ্ভাবনা থাকায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উজ্জ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা-২০১৩ এর বিধি ৩৭(খ) মোতাবেক অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামত প্রদান করেন।
প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক ২০০৯ সালে প্রকল্প কর্মকর্তা হয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে যোগ দেন। পরে তিনি ওই প্রকল্পে অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক এবং পরে পদোন্নতি পেয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হন। ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি পিডি ছিলেন। এক পর্যায়ে সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী হয়েও পিডির পদে ছিলেন। পরে তাকে পিডির পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পিডি থাকাকালে প্রকল্পের মহাপরিকল্পনায় বাণিজ্যিক ব্লকের সঙ্গে থাকা একটি আরবান ইউটিলিটি ফ্যাসিলিটির (ইউইউএফ) জায়গায় ৭ কাঠা আয়তনের প্লট বানিয়ে নিজের নামে বরাদ্দ নেন। পূর্বাচল প্রকল্পের ৫ নম্বর সেক্টরের ১০৩ নম্বর রোডের ৯১ নম্বর প্লটটির জন্য সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অথচ প্লটটির বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা