০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

রামেক ছাত্রলীগের ১৫ নেতার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

-

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) ছাত্রলীগের ১৫ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ছয়জনকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে তাদের এই সাজা দেয়া হয়। গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। রামেকের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: শংকর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হাসান অমি। তিনি ২৭তম বিডিএস ব্যাচের ছাত্র। তার দুই বছর ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৯তম ব্যাচের শাহরিয়ার রহমান সিয়ামকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার। ৩০তম ব্যাচের আশিক রেজাকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাফিউর রহমান সিয়ামকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, সাদমান সাকিব রক্তিমকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, ৫৯তম ব্যাচের শুভ কুমার মণ্ডলকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, জয়দেব কুমার সাহার দুই বছরের জন্যে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, গৌরব কুমার সাহার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, আসিফুজ্জামনের এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার ও আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্ষণকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও সার্জারি বিভাগে ডিউটি এক্সটেনশন এবং মুচলেকা, ৬০তম ব্যাচের নাহিদ হাসানকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাইদা রশিদ ত্বাহাকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মাহদিন আহমেদ খানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মিজানুর রহমানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মুক্তার আলীকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মুচলেকায় ক্ষমা প্রাপ্তরা হলেন- ২৯তম ব্যাচের সাবিহা আফরিন ছন্দকে তিরস্কার এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা নেয়া হয়। এ ছাড়া ৫৯তম ব্যাচের ফরিদ উদ্দিন, মুস্তাফিজ আল আমিন, শরিফ হোসেন, সাব্বির হোসেন অভি ও শাহরিয়ার আহসান সাজিদকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করা হয়।
রামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: শংকর কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে এই শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের সিট বাণিজ্য, র্যাংগিং, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও জুলাইয়ের ছাত্র অভ্যুত্থানের বিরোধিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল