২৮ অক্টোবরের বিচারের মাধ্যমে সংস্কার শুরু করতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে যদি বাংলাদেশকে বের করতে হয়, তা হলে অবশ্যই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের বিচার সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়েই দেশে প্রথম সংস্কার শুরু করতে হবে। সেই হতাকাণ্ডের বিচার সুষ্ঠুভাবে করা হলেই কেবল সব সংস্কার সুন্দরভাবে সম্পন্ন হতে পারে। পরবর্তীতে দেশের সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার বা যেকোনো সংস্কার ফলপ্রসূ হবে বলে জনগণ মনে করে। আমরা যদি আগামীতে ভয়ভীতিমুক্ত সত্যিকার একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই তা হলে গত ফ্যাসিবাদী সরকারের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্ভাবনার বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর : ফ্যাসিবাদের উত্থান; পথ হারিয়েছিল বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ সংগঠনের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ আবদুল মান্নানের পরিচালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাছুম।
অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রফেসর ওয়ারেসুল আলম বুলবুল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, কবি আব্দুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, কর্নেল আব্দুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো: বেলায়েত হোসেন, প্রকৌশলী শেখ আল আমিন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের যতটা বর্বরতা দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীর ততটা বর্বরতা দেখিনি।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে দেশে এখন কোনো সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। রাষ্ট্রপতি এরশাদ উপ-রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এখন যেহেতু উপ-রাষ্ট্রপতি পদ নেই সেহেতু রাষ্ট্রপতি জনগণের কাছে পদত্যাগ জমা দেবেন। জনগণের প্রতিনিধি হচ্ছে সরকার। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন। তিনি ২৮ অক্টোবর ২০০৬ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম শুরু করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মূলত চেয়েছে জামায়াত-বিএনপির ঐক্যের ফাটল ধরাতে। তারা জানত এটি করতে পারলেই তারা ক্ষমতা দখল করতে পারবে। কারণ জামায়াত-বিএনপি জোটগতভাবে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা তো দূরের কথা কখনো বিরোধী দলের আসনেও সংসদে বসতে পারবে না। সে জন্য তারা ২৮ অক্টোবর সৃষ্টি করেছে। সে দিন তারা মশাল হাতে নিয়ে এসেছে জামায়াত-শিবিরের অফিস পুড়িয়ে দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দেশবাসীকে নিজেদের কব্জায় রাখতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা