অভিনেতা মাসুদ আলী খানের ইন্তেকাল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। গতকাল বিকেলে কলাবাগানে নিজ বাসাতেই তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। এই অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা রবিন মণ্ডল। মাসুদ আলী খানের এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তার দাফনের বিষয়ে ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে মানিকগঞ্জে নিজ বাড়িতেই তাকে দাফন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘ দিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন মাসুদ আলী খান। বয়সের ভারে ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারতেন না। হুইল চেয়ারই ছিল তার ভরসা। এ কারণে বেশির ভাগ সময় ঘরের ভেতরেই কাটাতে হতো।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু।
পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি প্রায় ৫০০ নাটকে অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন বাংলা নাটকের চেনা মুখ।
মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। এই দম্পতির রয়েছেন এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দফতরে কাজ করেছেন মাসুদ আলী খান। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’ প্রভৃতি। উল্লেøখযোগ্য নাটক হচ্ছে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’ প্রভৃতি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা