সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- বাসস
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭
সাবেক নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বোচাগঞ্জ ও বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৩০ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনসহ মোট ২৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিরল থানায় নাশকতার মামলা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর বিরল থানার ওসি মো: আব্দুস সবুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই মামলায় বিরল ও বোচাগঞ্জ উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩০ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে ১৫০ জন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বিরল পৌর বিএনপির সহসভাপতি ইস্কান্দার হাসান (৫৪) বাদি হয়ে বুধবার রাতে বিরল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারা ও তৎসহ পেনাল কোড আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার বিরল উপজেলার ১০ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে, বিএনপির ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধারালো দেশীয় অস্ত্রের হামলা চালায়। বাদির অভিযোগ, নৌকা মার্কার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নির্দেশে এ হামলা হয়। আসামিরা ভোট কেন্দ্র বিএনপির পুরুষ ও মহিলা পোলিং এজেন্টদেরকে মারধর করে ও মহিলা পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়। আসামিরা ২টি ককটেল ও ১টি পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোট কেন্দ্রে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলো- বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ (৬৫), সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ, কে, এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫২), উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর (৫২), সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় (৫৫), বিরল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন (৩০), রাণী পুকুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আযম (৪২), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী (৫৫) প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা