সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ৯ আইনজীবী
- আদালত প্রতিবেদক
- ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৬
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদির ব্যক্তিগত খরচে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মামলায় তাদের নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের আলী রোমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একই আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য ৯ আইনজীবীকে নিয়োগের আবেদন করেন বাদি। শুনানি শেষে আদালত বাদির উপস্থিতিতে এ বিষয় শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
শিশির মনির ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন ও মোত্তাকিন হোসাইন। আবেদনে বলা হয়, মামলার ভিকটিম সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনিকে অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিরা ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। মামলাটি দীর্ঘ ১২ বছর তদন্ত চলামান থাকলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। আবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলায় কোনো প্রকার অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদিপক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আব্যশ্যক।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন। অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি।
পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে মোট ১১১ বারের মতো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে। এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।