২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দীর্ঘ ১২ বছর পর নাম ফিরে পেল কেশবপুরের শহীদ জিয়া ছাত্রাবাসের নাম

দীর্ঘ ১২ বছর পর নাম ফিরে পেল কেশবপুরের শহীদ জিয়া ছাত্রাবাসের নাম - ছবি : নয়া দিগন্ত

কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর নাম ফিরে পেল শহীদ জিয়া ছাত্রাবাস। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সিদ্ধ্যান্ত নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রাবাসের মুছে দেয়া নাম পুনরায় লিখে সাইন বোর্ড দেয়া হয়েছে।

এ সময় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দূর দুরান্ত থেকে আসা দরিদ্র মেধাবী ছাত্ররা ওই ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন। নাম ফলকবিহীন ওই ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে এতিম শিশুরা বসবাস করছিলো বলে সূত্র জানায়।

২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে একটি ছাত্রাবাস করার সিদ্ধান্ত নেয়। যার নাম দেন শহীদ জিয়া ছাত্রাবাস। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে এই ছাত্রাবাসের নামফলক তুলে ফেলা হয় এবং উদ্বোধক ফলক ভেঙে ফেলা হয়। ওই সময় সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক হুইপ আব্দুল ওহাব। তৎকালীন সভাপতি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত ম্যানেজিং কমিটিতে না নিলেও ওই সময়কার প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষ নিজস্ব দাপট দেখিয়ে শহীদ জিয়া ছাত্রাবাসের নামফলক তুলে ফেলা ও উদ্বোধক ফলক ভেঙে দেয়ার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছিল প্রচণ্ড ক্ষোভ।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক আহম্মেদ জানান, ২০১২ সালে ১৯ মার্চ পাইলট স্কুলে আমার নিয়োগ হওয়ার পরে আমি ছাত্রাবাসে টিনের সাইনবোর্ড টাঙ্গানো দেখেছি কিন্তু মাস খানেক পর হুট করে একদিন দেখলাম সাইনবোর্ড নেই। তখন আমাদের বহিস্কৃত পিয়ন আমজেদ-২-এর কাছে জানতে চাইলে বল্লো স্যার আমিও চার-পাঁচদিন ধরে দেখছি না। কারা নামিয়েছে এটা সবাই জানে কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ সবাই লেভেল দিয়ে চলে সে কারণে কেউ কোনো কথা বলেনি সেই সময়। তদন্ত করলে সব বের হয়ে আসবে। ওই সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান। তার কোনো ইংগিত ছিল কিনা সেটা ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান বলেন, আমি যোগদানের পর ওই ছাত্রাবাসের নাম ফলক দেখিনি। রেজুলেশনে নাম থাকায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ ভাই ছাত্রাবাসের নাম পুনরায় লেখার পরামর্শ দেন। আজাদ ভাইয়ের পরামর্শে ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রাবাসের নাম পুনরায় লেখা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ জানান, অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে ছাত্রাবাসের নামফলক মুছে ফেলা হয়েছিল যেটা শোভনীয় হয়নি। যারা করেছেন তাদের প্রতি ঘৃণা ও নিন্দা জানাই।


আরো সংবাদ



premium cement