ভারত থেকে এলো আমদানিকৃত ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম
- বেনাপাল (যশোর) সংবাদদাতা
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:০৭
দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এলো ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ভারতীয় আমদানিকৃত মুরগীর ডিম। এর আগে প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগীর ডিম আমদানি করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশী টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রফতানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে। তা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, ডিমের চালানটি গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা