২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ইবির খালেদা জিয়া হলে বার বার দুর্ঘটনা

অব্যবহৃত শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকবেন ছাত্রীরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের পুরোনো ব্লকে বারংবার বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৭ জুলাই থেকে মোট পাঁচবার বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ২ ও ৪ সেপ্টেম্বর বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগে যায়। এ সময় কয়েকজন ছাত্রী আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ফলে নিরাপত্তা শঙ্কায় ছাত্রীদের ওই ব্লক থেকে সরিয়ে অব্যবহৃত শিক্ষক কোয়ার্টার ‘কপোতাক্ষ’তে থাকার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ছাত্রীরা এই ভবনে উঠেছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, খালেদা জিয়া হলের পুরোনো ব্লকে বৈদ্যুতিক লাইন দুর্বল হয়ে পড়ায় প্রায়ই ছোট-বড় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ জুলাই মাসে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সংযোগ মেরামতের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। ওইসময় হলের তিনতলা পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ মেরামত করার কথা থাকলেও দুই তলা পর্যন্ত করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় শুধু জোড়াতালি মেরামত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।

এদিকে সর্বশেষ গত ২ ও ৪ সেপ্টেম্বর বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে কয়েকজন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায় বলে জানা গেছে।

পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাসহ হলের ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সাথে আলোচনায় বসেন। সেখানে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে হলের সমস্যা নিরসনে চার দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। ফলে ওই ভবনে থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এরশাদুল হক বলেন, আমরা এখানে শতাধিক ছাত্রীর আবাসন ব্যবস্থা করেছি। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক আনসার ও আয়া নিয়োজিত থাকবে।

তাদের খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের ডাইনিং থেকে তাদের জন্য প্রতি বেলায় খাবার এখানে নিয়ে আসা হবে। আশাকরি তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। এর পরেও যদি তারা নিরাপত্তা সঙ্কট মনে করে, তাহলে সমন্বয়ক প্যানেল এবং আমরা মিলে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম. শরীফ উদ্দীন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অবস্থানের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। কোয়ার্টারে মোটামুটি সব রুমের বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, হলের বিদ্যুৎ সমস্যার কারনে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছিল। আমরা তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ে কপোতাক্ষ ভবন সংস্কার করে এখানে নিয়ে এসেছি।


আরো সংবাদ



premium cement